টেক্সাসে বন্যায় শতাধিক মৃত্যু, ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থে নিহত অন্তত ১২
টেক্সাসের ভয়াবহ বন্যার পর স্থানীয় সময় সোমবার মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা মঙ্গলবারও নিখোঁজদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে। বিগত চারদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের পর আবহাওয়া কিছুটা উন্নতি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা সহজ হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় এখনো মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়ে গেছে।

টেক্সাসের ভয়াবহ বন্যার পর স্থানীয় সময় সোমবার মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা মঙ্গলবারও নিখোঁজদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে। বিগত চারদিন ধরে টানা বৃষ্টিপাতের পর আবহাওয়া কিছুটা উন্নতি হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কিছুটা সহজ হয়েছে। তবে কিছু এলাকায় এখনো মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়ে গেছে।
ডালাস মর্নিং নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট মঙ্গলবার আবার "ক্যাম্প মিস্টিক" নামের পুরনো খ্রিস্টান গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পটিতে যাচ্ছেন । আকস্মিক এই বন্যায় শত বছরের পুরনো এই ক্যাম্পে অন্তত ২৭ জন কিশোরি ও তাদের একজন কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। এখনো ১০ জন কিশোরি ও একজন কাউন্সিলর নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
কের কাউন্টির কর্মকর্তারা সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জানিয়েছেন, তারা মোট ৮৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন, যার মধ্যে ২৮ জন শিশু ও ৫৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক।
টেক্সাসের অন্যান্য এলাকায় একই বন্যার কারণে আরও অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ফলে রাজ্যজুড়ে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ অঞ্চলে অন্তত এক ডজন বাসিন্দার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ডালাস মর্নিং নিউজ।
বন্যা ও মৃত্যু সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টেক্সাসবাসীরা প্রশ্ন তুলছেন— আবহাওয়াবিদ এবং ফেডারেল কর্তৃপক্ষ কি আগেভাগে যথেষ্ট সতর্ক করেছিল?
স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ভোরে নিউ ব্রাউনফেলসের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানায় যে, হিল কান্ট্রি এলাকায় ৭ ইঞ্চি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। তার পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গুয়াডালুপে নদীর পানির স্তর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছে যায়।
অ্যাকুওয়েদার-এর প্রধান আবহাওয়াবিদ জনাথন পোর্টার বলেন, "স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছে তখন যথেষ্ট তথ্য ছিল। তারা সবাইকে আগাম সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারতেন।"
অনেকে অভিযোগ করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে ফেডারেল কর্মী সংকোচনের ফলে কের কাউন্টিতে জরুরি সাড়া ব্যবস্থাপনা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, তারা এই সপ্তাহের শেষ দিকে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সোমবার জানায়, সফরটি সম্ভবত আগামী শুক্রবার (১১ জুলাই) হতে পারে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।