বিমানের কাঠমুন্ডু ফ্লাইটে বোমা! ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মায়ের কাণ্ড
ইমন নামে এক ব্যক্তির প্রেমিকাকে নিয়ে ওই ফ্লাইটে করে নেপালের কাঠমুন্ডু যাওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি ইমনের মা ও তাঁর স্ত্রী জানতে পারেন এবং তাঁর যাত্রা বন্ধের চেষ্টা চালান। কিন্তু তাঁরা সক্ষম না হলে ইমনেরই আরেক বন্ধু ইমরান তাঁদের পরামর্শ দেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন কল করে বিমানে বোমা বললে যাত্রা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। ঠেকানো যাবে 'পরকীয়া'। সে অনুযায়ী ইমনের মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন কল করে বলেন, ‘বিমানে বোমা আছে।’

ইমন নামে এক ব্যক্তির প্রেমিকাকে নিয়ে ওই ফ্লাইটে করে নেপালের কাঠমুন্ডু যাওয়ার কথা ছিল। বিষয়টি ইমনের মা ও তাঁর স্ত্রী জানতে পারেন এবং তাঁর যাত্রা বন্ধের চেষ্টা চালান। কিন্তু তাঁরা সক্ষম না হলে ইমনেরই আরেক বন্ধু ইমরান তাঁদের পরামর্শ দেন, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন কল করে বিমানে বোমা বললে যাত্রা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। ঠেকানো যাবে 'পরকীয়া'। সে অনুযায়ী ইমনের মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে ফোন কল করে বলেন, ‘বিমানে বোমা আছে।’
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— ইমনের মা রাশেদা বেগম, ইমনের স্ত্রী তাহমিনা এবং ইমনের বন্ধু ইমরান।
শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান।
র্যাবের ডিজি বলেন, ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বোমা আছে—অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন কল করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে এমন তথ্য জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ফ্লাইটে যাত্রা স্থগিত করা হয়। কিন্তু তিন থেকে চার ঘণ্টার তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় জাতীয় এয়ারলাইনসের ভাবমূর্তি দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে মারাত্মক ক্ষুণ্ন হয়। এর আগেও এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। টেলিফোনের মাধ্যমে বোমার খবর দেওয়া হয়, পরবর্তীকালে তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি।
শহিদুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পরপরই আমরা অনুসন্ধানে নামি, সারা রাত অভিযান পরিচালনা করে আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করি। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করেছে।
গতকাল ওই ফ্লাইটটি তল্লাশি করে কিছু না পাওয়ায় তিন ঘণ্টা পর সেটি কাঠমুন্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।