বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠালে ১% কর দিতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে অর্থ পাঠাতে হলে তাকে ১ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। কেউ ১০০ডলার পাঠালে এক ডলার কর দিতে হবে। কেউ যদি এক লাখ ডলার পাঠান, তাহলে তাকে কর হিসেবে দিতেহবে এক হাজার ডলার। এটি শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়, অন্য দেশের মানুষকেও রেমিট্যান্স পাঠানোরসময় একই পরিমাণে ট্যাক্স দিতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশিদের দেশে অর্থ পাঠাতে হলে তাকে ১ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। কেউ ১০০ডলার পাঠালে এক ডলার কর দিতে হবে। কেউ যদি এক লাখ ডলার পাঠান, তাহলে তাকে কর হিসেবে দিতেহবে এক হাজার ডলার। এটি শুধু বাংলাদেশিদের জন্য নয়, অন্য দেশের মানুষকেও রেমিট্যান্স পাঠানোরসময় একই পরিমাণে ট্যাক্স দিতে হবে।
ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল পাস হওয়ার পর এই কর কার্যকর হচ্ছে। এই বিল পাস হওয়ার আগ পর্যন্তরেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো কর দিতে হতো না। কিন্তু নতুন বিলে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে ২০২৬সালের জানুয়ারি মাস থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে এই কর দিতে হবে। বিলটিতে ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্টডোনাল্ড ট্রাম্প সাইন করার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।
মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে বলছেন, এখন যারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে অর্থ পাঠাচ্ছেন, তাদেরকেকর দিতে হচ্ছে না। যারা চেকে ইনকাম করেন, তারা ইনকাম করার সময় একবার ট্যাক্স দেন। যে কারণেএকবারই তারা কর দেন। তবে যারা ক্যাশে ইনকাম করতেন, তারা কেউ কর দেন, কেউ দেন না। যারা ক্যাশেঅর্থ আয় করেন, তারা সরকারকে কর দেন কি না, সেটি বোঝার উপায় নেই। তবে যারা ট্যাক্স দেন এবং যারাদেন না আগামীতে উভয়কেই দেশে অর্থ পাঠাতে কমপক্ষে ১ শতাংশ কর দিতে হবে।
মানি এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থায় যারা বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠান, তারা বৈধ পথের চেয়েহুন্ডির প্রতি ঝুঁকে পড়তে পারেন। এটি আমাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে কতখানি প্রভাব ফেলবে, তা এখনই বলাযাচ্ছে না। সাময়িকভাবে কিছুটা প্রভাব ফেলবে। তবে আস্তে আস্তে হয়তো মানুষের কাছে তা সহনীয় হয়েউঠবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ১ শতাংশ ট্যাক্স ফাঁকি দিতে মানুষ আবার অবৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ হয়েউঠতে পারে। ১ শতাংশ ট্যাক্সের বিধান চালু করার কারণে এখন মানুষ বৈধ পথের চেয়ে অবৈধ পথেইরেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে করে এখানকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশও ক্ষতিগ্রস্তহবে।
মানুষ এখান থেকে পাঁচ সেন্ট বা দশ সেন্টের জন্য একটি বাদ দিয়ে অন্য এজেন্সির কাছে যায়। যেখানে বেশিপায় সেখানে যায়। আবার সিন্ডিকেটগুলো হুন্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠায়। এভাবে অর্থ পাঠানোরকারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ যারা পাঠান তারা লাভবান হন।
নতুন ট্যাক্স আরোপ করার বিধানটি এখনো কার্যকর হয়নি। রেগুলেটরি বডির নির্দেশনা মোতাবেক এটিকার্যকর করা হবে। রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ কর দেওয়ার বিধানটি ২০২৬ সালের জানুয়ারিমাসে কার্যকর হবে। এর উদ্দেশ্য দুটি: যাতে করে মানুষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া এ দেশ থেকে অর্থ না পাঠায়।আরেকটি হলো ১ শতাংশ কর ধরে সরকারের আয় বাড়ানো।
রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর কর বসানোর বিষয়টিকে অনেকেই নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এটি তাদের ওপরএকটি বাড়তি করের বোঝা। তারা তো একবার ইনকাম করার সময় কর দেন, এখন আবার অতিরিক্ত আরও১ শতাংশ দিতে হবে। আবার এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন আমেরিকার নাগরিকদের অনেকে।