যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় সপ্তম স্থানে ফ্লাওয়ার মাউন্ড
বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ছোট শহরগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থান দখল করেছে ফ্লাওয়ার মাউন্ড। ডালাস থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরের এই শহরটি সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। মার্কিন অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা স্মার্টঅ্যাসেট তাদের চলতি বছরের বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ফ্লাওয়ার মাউন্ডকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।

বসবাসের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ছোট শহরগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থান দখল করেছে ফ্লাওয়ার মাউন্ড। ডালাস থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরের এই শহরটি সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। মার্কিন অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা সংস্থা স্মার্টঅ্যাসেট তাদের চলতি বছরের বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ফ্লাওয়ার মাউন্ডকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্মার্টঅ্যাসেট প্রতি বছর ৬৫ হাজার থেকে এক লাখ জনসংখ্যাবিশিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের ২৭৯টি শহর নিয়ে গবেষণা চালায় এবং সেই শহরগুলোকে বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে। এ বছর ফ্লাওয়ার মাউন্ড তালিকায় অভাবনীয় উন্নতি করেছে।
২০২৪ সালে শহরটির অবস্থান ছিল ২৯ নম্বরে, আর এবার সেটি উঠে এসেছে সরাসরি সপ্তম স্থানে। এই মূল্যায়নে যেমন বাসস্থানের খরচ, গড় যাতায়াত সময় ও দারিদ্র্য হার বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, তেমনি দেখা হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্যসেবা ও বিনোদনের মতো নাগরিক সুবিধার প্রাপ্যতা এবং ব্যবসায়িক পরিবেশও। এসব বিবেচনায় ফ্লাওয়ার মাউন্ড -এর অবস্থান যে শীর্ষ দশে উঠে এসেছে।
বর্তমানে শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ৭৯ হাজারের বেশি এবং এখানকার গড় বা মাঝারি পারিবারিক আয় বছরে প্রায় ১,৪৭,৪৯০ ডলার। এই আয় বিবেচনায় শহরটির বাসিন্দারা বাসাভাড়া বা বাসস্থানের পেছনে মাসে গড়ে খরচ করছেন ২,৪৫৪ ডলারের মতো, যা মোট আয়ের মাত্র ২০ শতাংশেরও কম।
শুধু তাই নয়, শহরের প্রায় ৯৭ শতাংশ বাসিন্দার স্বাস্থ্যবিমা রয়েছে এবং বেকারত্বের হার মাত্র ১.৯৫ শতাংশ। এটি টেক্সাসের ২০টি শহরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। শহরটির আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এখানকার দারিদ্র্য হার মাত্র ৩.৩ শতাংশ।
এতসব অনুকূল পরিস্থিতি শহরটিকে কর্মসংস্থান, জীবনযাপন এবং পারিবারিক পরিবেশের জন্য এক দারুণ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। ফ্লাওয়ার মাউন্ডে বর্তমানে ২০,০০০-এর বেশি ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে। এগুলো কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তাদের জন্য বিস্তৃত সুযোগ তৈরি করছে। শহরের মানুষজন প্রতিদিন গড়ে মাত্র ২৫ মিনিট সময় ব্যয় করেন কর্মস্থলে পৌঁছাতে, যা অনেক বড় শহরের তুলনায় যথেষ্ট কম।
শুধু অর্থনৈতিক সূচকেই নয়, পারিবারিক পরিবেশ এবং সামাজিক বন্ধনের কারণেও ফ্লাওয়ার মাউন্ড বেশ আলাদা।
২০২৫ সালের স্মার্টঅ্যাসেট তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসযোগ্য ছোট শহর হিসেবে প্রথম স্থানে রয়েছে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের প্লেমাউথ, এরপর ব্লুমিংটন (ইলিনয়), লিভোনিয়া (মিশিগান), ও ফ্যালোন (মিসৌরি), আনকেনি (আইওয়া), লেকভিল (মিনেসোটা) এবং তারপরই রয়েছে ফ্লাওয়ার মাউন্ড। তালিকার বাকি তিনটি শহর হলো ও ক্লেয়ার ও অ্যাপলটন (উইসকনসিন) এবং সেইন্ট চার্লস (মিসৌরি)।