ভেনেজুয়েলার কাছাকাছি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, বাড়ছে উত্তেজনা
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। বর্তমানে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে নোঙর করেছে যুদ্ধজাহাজটি। উন্নত অস্ত্র ও হেলিকপ্টারসজ্জিত এই ডেস্ট্রয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ নৌবহরের অংশ এবং এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও রয়েছেন। তারা স্থানীয় বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস গ্রেভলি। বর্তমানে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে নোঙর করেছে যুদ্ধজাহাজটি। উন্নত অস্ত্র ও হেলিকপ্টারসজ্জিত এই ডেস্ট্রয়ারটি যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ নৌবহরের অংশ এবং এতে মার্কিন মেরিন সদস্যরাও রয়েছেন। তারা স্থানীয় বাহিনীর সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
এ অঞ্চলে একই সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড। এতে ওয়াশিংটন–কারাকাস উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের পটভূমি তৈরি’ করছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানের নামে একাধিক সামরিক হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর নিশ্চিত করেছে, অঞ্চলটিতে এখন তাদের বড় পরিসরের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে—যা ১৯৮৯ সালের পানামা আক্রমণের পর সবচেয়ে বড়।
তবে ত্রিনিদাদ সরকার জানিয়েছে, যুদ্ধজাহাজটির আগমন যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের অংশ এবং এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবু স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় নিরাপত্তা বিশ্লেষক জাভেদ আলী আল–জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখানে উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে, যার লক্ষ্য মাদুরো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।’ তিনি যোগ করেন, ‘হোয়াইট হাউস কী ভাবছে তা বোঝা কঠিন। তবে এই সামরিক উপস্থিতি ভেনেজুয়েলায় সরাসরি আক্রমণের জন্য যথেষ্ট বড় নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী যুদ্ধের ধরন দেখলে বোঝা যায়, এত ক্ষুদ্র উপস্থিতি নিয়ে তারা কখনো যুদ্ধ শুরু করে না।’
মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র গত আগস্টে ওই অঞ্চলে আটটি যুদ্ধজাহাজ, ১০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং একটি পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন পাঠায়।। ১৯৮৯ সালে পানামা আক্রমণের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে এটিই তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক সমাবেশ।
সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ভেনেজুয়েলাও উপকূলজুড়ে প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি