ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে টেক্সাসের পরিবারপিছু বছরে বাড়তি খরচ ১,২০০ ডলার
জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাড়ি থেকে শুরু করে আসবাবপত্র পর্যন্ত নানা পণ্যে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন। এর প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক বাজারে; মূল্যবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাড়ি থেকে শুরু করে আসবাবপত্র পর্যন্ত নানা পণ্যে ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন। এর প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক বাজারে; মূল্যবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ট্যাক্স ফাউন্ডেশনের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি গড় পরিবারকে বছরে গড়ে ১,২০০ ডলার বেশি ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১,৬০০ ডলারে, যা টেক্সাসের পরিবারগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
গবেষক এরিকা ইয়র্ক ও অ্যালেক্স দুরান্তের মতে, এই শুল্ক আরোপ সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে আমেরিকানদের ওপর অন্যতম বড় কর বৃদ্ধির উদাহরণ। তাদের ভাষায়, ‘শুল্ক আসলে এক ধরনের কর, যা পণ্যের দাম বাড়ায়, সরবরাহ কমায় এবং শেষ পর্যন্ত আয়, কর্মসংস্থান ও উৎপাদন—সবক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।’
বুধবার কোর্টে শুনানিতে মূল প্রশ্ন হবে—ট্রাম্প তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা ছাড়িয়ে গেছেন কিনা। আদালতের রায় তার প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতির গতিপথ নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
এদিকে ট্রাম্পের দাবি, শুল্ক বাতিল হলে দেশ ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কিনারায়’ চলে যাবে। প্রশাসনের বক্তব্য, এই শুল্ক শুধু অর্থনীতিকে নয়, বরং চীন ও রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চাপ তৈরিতেও সহায়তা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী কর আরোপের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, তবে কয়েক দশক ধরে প্রেসিডেন্টদের সেই ক্ষমতা ক্রমে বেড়েছে, যার সর্বাধিক ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প।
টেক্সাসের ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক আরোপ তাদের ক্ষতি করছে। ডালাস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের আগস্টের এক জরিপে ৩৩১ জন ব্যবসায়ী ও নির্বাহী অংশ নেন। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক জানিয়েছেন, শুল্কের কারণে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উৎপাদন খাতে ৭০ শতাংশের বেশি এবং খুচরা বাণিজ্যে ৬০ শতাংশ নির্বাহী একই অভিযোগ করেছেন।
রপ্তানি-নির্ভর রাজ্য টেক্সাসে তাই প্রশ্ন উঠেছে—এই শুল্ক নীতি শেষ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করছে, নাকি স্থানীয় অর্থনীতিকে আরও চাপে ফেলছে?
তথ্যসূত্র: ডালাস মর্নিং নিউজ