উত্তর টেক্সাসে ব্যালটে সম্পত্তি কর, জামিন সংস্কার ও বিনিয়োগ প্রস্তাব পাস
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে উত্তর টেক্সাসের তুলনামুলক কম আগ্রহের এক নির্বাচনে, যেখানে ভোটাররা সম্পত্তি কর, জামিন সংস্কার ও রাজ্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে রায় দেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে উত্তর টেক্সাসের তুলনামুলক কম আগ্রহের এক নির্বাচনে, যেখানে ভোটাররা সম্পত্তি কর, জামিন সংস্কার ও রাজ্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে রায় দেন।
এই নির্বাচনে টেক্সাসজুড়ে ১৭টি সাংবিধানিক সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হয়—সবগুলোই শেষ পর্যন্ত পাস হয়েছে।
সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাবগুলোর একটি ছিল জামিন সংস্কার। নতুন নিয়মে বিচারকদের নির্দিষ্ট কিছু সহিংস অপরাধের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে জামিন প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
আরেকটি সংশোধনী অনুযায়ী, উত্তরাধিকার বা মৃত্যুকর আর কখনও আরোপ করা যাবে না।
সম্পত্তি কর ছাড় সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রস্তাবও পাস হয়েছে। স্কুল জেলা করের ক্ষেত্রে বাসস্থান করমুক্ত সীমা ১ লাখ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার করা হয়েছে। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ছাড় ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার ডলার করা হয়েছে।
আরেক প্রস্তাবে যুদ্ধ-সম্পর্কিত অসুস্থতায় মারা যাওয়া প্রবীণ সেনাদের স্ত্রী বা স্বামীকে কর ছাড় দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ক্ষেত্রেও করছাড়ের সুযোগ থাকবে।
এছাড়া, জল অবকাঠামো বিনিয়োগ নিয়ে প্রস্তাবটি রাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি পানিসংকট মোকাবিলায় বিলিয়ন ডলার ব্যয় অনুমোদন দিয়েছে।
আরও একটি প্রস্তাবে টেক্সাসে ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট গঠনের অনুমোদন মিলেছে।
সংবিধানে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে—টেক্সাসে ভোট দিতে হলে অবশ্যই মার্কিন নাগরিক হতে হবে এবং পিতামাতার অধিকার নিয়ে স্পষ্ট ভাষা যোগ করা হয়েছে।
এসএমইউ-র রাজনৈতিক বিশ্লেষক ম্যাথিউ উইলসন বলেন, ‘যে প্রস্তাবগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে, তা কর-সংক্রান্ত। বিশেষ করে যেগুলো সাধারণ ও বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী মালিকদের জন্য ছাড় বাড়িয়েছে।’
কলিন কাউন্টির বিভিন্ন কেন্দ্রে কাগজের ব্যালট ব্যবস্থায় ভোট হয়, যা পরে ইলেকট্রনিকভাবে গণনা করা হয়। আকাশপথে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের লম্বা লাইন।
যদিও নতুন ভোট পদ্ধতি নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে, কাউন্টি নির্বাচন প্রশাসক জানিয়েছেন—ভোটগ্রহণে বড় কোনো সমস্যা হয়নি।
স্থানীয়ভাবে নতুন জরুরি পরিষেবা জেলার কর প্রস্তাবও অনেক ভোটারকে কেন্দ্রে টেনেছে বলে জানা গেছে।
তথ্যসূত্র: ফক্স ফোর