প্রফেশনাল ডিগ্রি তালিকায় নেই নার্সিং-শিক্ষা, ছাত্রঋণের সীমা কমিয়ে আনছে ট্রাম্প প্রশাসন

ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’–এর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার ঋণব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে প্রশাসন। নতুন প্রস্তাবে নার্সিং, ফিজিক্যাল থেরাপি, শিক্ষা, আর্কিটেকচারসহ বহু বিষয়ে অধ্যয়নকে ‘প্রফেশনাল ডিগ্রি’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে এসব বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রির জন্য ফেডারেল স্টুডেন্ট লোন সীমা কমে যেতে পারে।

আগে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পুরো খরচ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারলেও নতুন নিয়মে প্রোগ্রামের ধরন অনুযায়ী ঋণের সীমা নির্ধারিত হবে। ফার্মাসি, ডেন্টিস্ট্রি, ভেটেরিনারি, মেডিসিন, ল, অপটোমেট্রি ও থিওলজিকে ‘প্রফেশনাল’ ধরা হলেও নার্সিং, ফিজিক্যাল থেরাপি, ডেন্টাল হাইজিন, অকুপেশনাল থেরাপি, সোশ্যাল ওয়ার্ক, আর্কিটেকচার, এডুকেশন ও অ্যাকাউন্টিং বাদ পড়েছে তালিকা থেকে।

এতে আগামী জুলাই থেকে নার্সিং–ফিজিক্যাল থেরাপিসহ অন্যান্য গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ঋণসীমা বছরে সর্বোচ্চ ২০,৫০০ ডলার এবং মোট ১ লাখ ডলারে কমে আসবে। অন্যদিকে প্রফেশনাল প্রোগ্রামের সীমা থাকছে বছরে ৫০,০০০ এবং মোট ২ লাখ ডলার।

প্রশাসনের দাবি, ঋণসীমা কমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টিউশন কমাতে বাধ্য হবে। তবে স্বাস্থ্যসেবা খাত বলছে, নার্সিংসহ চাহিদাসম্পন্ন পেশাগুলোকে তালিকার বাইরে রাখা ভুল সিদ্ধান্ত—এতে চলমান নার্স সংকট আরও বাড়বে। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে আরও ব্যয়বহুল প্রাইভেট লোন নিতে পারে, যা রোগীদের সেবায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

স্বাস্থ্য সংগঠনগুলোর অভিযোগ, যেসব ডিগ্রি লাইসেন্স বা সার্টিফিকেশন পেতে বাধ্যতামূলক—সেগুলো বাদ দেওয়া অযৌক্তিক। নার্সিং পেশার বড় অংশই নারী—এত কম ঋণসুবিধা তাদের জন্য বড় বাধা হবে বলে সতর্ক করেছে তারা।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ৯৫% নার্সিং শিক্ষার্থী এমন গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে আছে যা নতুন সীমাবদ্ধতার আওতায় পড়বে না। আর ইতিমধ্যে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীরা আগের নিয়মেই ঋণ পাবেন।

কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, মহামারির সময় যারা সামনে থেকে লড়াই করেছেন, তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত ‘চরম হতাশাজনক’ এবং ভবিষ্যৎ নার্সদের এই পেশা থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।

তথ্যসূত্র: এনবিসি ৫