ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে নিয়ে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে হোয়াইট হাউসে টানা তৃতীয় দিনের মতো উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন—তিনি ‘মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন’।
ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপ নিয়ে হোয়াইট হাউসে টানা তৃতীয় দিনের মতো উচ্চপর্যায়ের আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন—তিনি ‘মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন’।
তবে কী সেই সিদ্ধান্ত তা প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প বলেন, ভেনেজুয়েলা নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা তিনি প্রায় ঠিক করে ফেলেছেন। বিষয়টি ঘিরে হোয়াইট হাউসের বৈঠকগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সামরিক নেতৃত্ব ও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টারা সম্ভাব্য সামরিক অপশন নিয়ে আলোচনা করছেন।
সূত্রগুলো বলছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ, জয়েন্ট চিফস চেয়ারম্যান ড্যান কেইন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। এর আগের দুই দিনও গোয়েন্দা ব্রিফিং ও সামরিক পর্যালোচনায় ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি ছিল মূল আলোচ্য।
সামরিক কর্মকর্তারা ট্রাম্পের সামনে অভিযানসংক্রান্ত বিভিন্ন বিকল্প তুলে ধরেছেন—যার মধ্যে স্থলভাগে সম্ভাব্য হামলাও ছিল। বৃহস্পতিবারও প্রেসিডেন্টকে এ বিষয়ে ব্রিফ দেওয়া হয়। শুক্রবার আলোচনার পরিধি আরও বিস্তৃত হয়।
এদিকে ভেনেজুয়েলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তাদের মিত্রদের কাছে স্পষ্ট করে জানায়নি, ওয়াশিংটনের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য কী। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে আসছে, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো অপরাধী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত এবং তিনি মার্কিন ভূখণ্ডে মাদক পাচার সহজ করছেন—যদিও মাদুরো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
গত দুই মাসে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রমুখী মাদক পরিবহনের অভিযোগে অন্তত ২১টি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছে। তবে কিছু পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ বলছে, মাদুরোর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ প্রমাণের মতো তথ্য তাদের হাতে নেই—যদিও ২০২০ সালের একটি মার্কিন ফেডারেল কেসে তাকে ‘শীর্ষ মাদক পাচারকারী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
সম্ভাব্য সামরিক অভিযান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফ্রান্সও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো বলেন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হতে পারে।
এদিকে মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড স্ট্রাইক গ্রুপ ইতিমধ্যেই ইউএস সাউদার্ন কমান্ডের এলাকায় প্রবেশ করেছে। ক্যারিবীয় ও দক্ষিণ আমেরিকায় সামরিক মিশনের জন্য এ কমান্ডই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান যুদ্ধ ইউনিট। ফোর্ড সেখানে নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, যুদ্ধবিমান ও বিশেষ অভিযানে ব্যবহৃত বাহিনীর সঙ্গে একত্রিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: সিবিএস