ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের অপেক্ষা ঘোচাল বাংলাদেশ
২২ বছরের অধীর অপেক্ষা শেষ হলো ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ। মাঠে লুটিয়ে পড়লেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোম জড়িয়ে ধরলেন কিউবা মিচেলকে। ২০০৩ সালের পর মঙ্গলবারের (১৮ নভেম্বর) এই জয়টিই ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় জামাল ভূঁইয়া-শেখ মোরসালিনদের।
২২ বছরের অধীর অপেক্ষা শেষ হলো ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিতে উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ। মাঠে লুটিয়ে পড়লেন হামজা চৌধুরী, শমিত শোম জড়িয়ে ধরলেন কিউবা মিচেলকে। ২০০৩ সালের পর মঙ্গলবারের (১৮ নভেম্বর) এই জয়টিই ভারতের বিপক্ষে প্রথম জয় জামাল ভূঁইয়া-শেখ মোরসালিনদের।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগেই মূলপর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। তবে এই ম্যাচের আগে দলের জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। কথা রেখেছেন তিনি ও তার দল। ভারতকে হারানোয় তাই পাহাড়সম চাপ যেন নামল তার কাধ থেকে।
ম্যাচের নায়ক শেখ মোরসালিন। চোট কাটিয়ে মাত্র দুদিন অনুশীলনের পরই মাঠে নেমেছিলেন। ১১ মিনিটে তার গোলটিই ব্যবধান গড়ে দেয় ম্যাচে। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি তার সপ্তম গোল।
পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ভারত আক্রমণে চাপে রাখে বাংলাদেশকে। একের পর এক ফ্রি কিক, লং শট—কিন্তু গোলে আসল না। বাংলাদেশও একবার সুযোগ পয়েছিল। কিন্তু ফাহিমের হেড গোল হওয়া থেকে বাধা দেন সন্দেশ ঝিঙ্গন।
শেষ মুহূর্তে নায়ক হয়ে ওঠেন স্বাগতিক দলের গোলরক্ষক মিতুল। শুরুর ভুল ভুলে তিনি পরিণত হন দেয়ালে। ভারতের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন, অক্ষত থাকে বাংলাদেশের জাল। আর তাতেই ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান। আর সে উচ্ছ্বাসের ঢেউ মাঠের গ্যালারিতে। —‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’-স্লোগানে প্রকম্পিত জাতীয় স্টেডিয়াম।
তথ্যসূত্র: বাফুফে