বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাম্প মিস্টিক পুনর্গঠনে ‘ডালাসের সেরা লেমোনেড’ বিক্রি শিশুদের
স্কুল প্রজেক্ট নিয়ে শিশুদের ছটফটানি যেমন হয়। গ্রাহাম গুডিন উদগ্রীব ছিল তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাবা-মাকে জানানোর জন্য। শনিবার ৯টা বাজতেই সেটা সে জানিয়ে দেয়। তাই সে দ্রুত তার জিনিসপত্র ও দল জোগাড় করে ফেলে। এই দলে রয়েছে তার ১২ বছর বয়সী বন্ধু কেডেন ওয়ালেস এবং কেডেনের ১০ বছর বয়সী বোন এভারলি ওয়ালেস।

স্কুল প্রজেক্ট নিয়ে শিশুদের ছটফটানি যেমন হয়। গ্রাহাম গুডিন উদগ্রীব ছিল তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাবা-মাকে জানানোর জন্য। শনিবার ৯টা বাজতেই সেটা সে জানিয়ে দেয়। তাই সে দ্রুত তার জিনিসপত্র ও দল জোগাড় করে ফেলে। এই দলে রয়েছে তার ১২ বছর বয়সী বন্ধু কেডেন ওয়ালেস এবং কেডেনের ১০ বছর বয়সী বোন এভারলি ওয়ালেস।
গ্রীষ্মের সাত ঘণ্টায় ৫৫০ ডলার সংগ্রহের পর ক্লান্ত গ্রাহাম শেষ ফুটপাত ধরে হেঁটে এসে একটা ধূসর লন চেয়ারে গা এলিয়ে দেয়। ডালাসের লেকউড পাড়ার বাড়ির ড্রাইভওয়ে।
ক্যার কাউন্টির ভয়াবহ বন্যা নিয়ে কয়েকদিন কাটানোর পর গ্রাহাম ও কেডেন নিজেদের অস্থির বোধ করতে থাকে। তারা জেনেছিল ৪ জুলাইয়ের ভোরে গুয়াডালুপে নদী ভয়ংকরভাবে ফুলে ওঠে, বাড়ি, গাড়ি, পরিবার—সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কেবল ক্যার কাউন্টিতেই প্রাণ হারায় অন্তত ১০৩ জন। মৃতদের মধ্যে ছিল প্রায় ৩০ জন কিশোরী এবং তাদের কাউন্সেলররা।
নদী ফুলে ওঠার পর থেকে এক সপ্তাহে ডজনখানেক অনুদানের পথ তৈরি হয়েছে কের কাউন্টির মানুষদের জন্য। রেস্টুরেন্টগুলো শতভাগ আয়ের অনুদান দিচ্ছে, নিহতদের পরিবার ফাউন্ডেশন ও ‘গোফান্ডমি’ শুরু করেছে এবং স্বেচ্ছাসেবীদের নতুন করে আহ্বান জানানো হচ্ছে, কারণ প্রথম দলের স্বেচ্ছাসেবীরা এখন ক্লান্ত।
'আমরা চাইলে সেখানে গিয়ে জিনিসপত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারি—বা এখানে থেকেও যা পারি তাই করি,' বলেন গ্রেগ। 'পুরনো দিনের লেমোনেড স্ট্যান্ড এখনও হারায়নি—আর তার সঙ্গে একটা মহৎ উদ্দেশ্য জুড়ে দিলে? ব্যাপারটা আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে।' গ্রাহাম বলে, 'পুরোই রাশ আওয়ার চলছিল।'
পরিবারের সহায়তায় শিশুরা বরফভর্তি একটি কুলার, লাল রঙের সলো কাপের স্তূপ এবং দুটি পাত্র নিয়ে আসে। নীল, গোলাপি ও সবুজ চক দিয়ে তারা একটি কাঠের স্ট্যান্ড সাজায়, যার ওপরে হলুদ ছাতা ছিল: 'লেমোনেড– ১ ডলার। পুরো আয় যাবে ক্যাম্প মিস্টিকের পুনর্গঠনে।'
সকাল ১০টায় তারা দোকান খুলে বিক্রি শুরু করে। প্রায় সব ক্রেতাই টিপস দেন—কেউ ৩ ডলার, কেউ ৭ ডলার। ডালাস ফায়ারফাইটারদের একটি দল এসে ৪০ ডলার দিয়ে যায়, কোনো লেমোনেড ছাড়াই। একজন নারী দুইটি ৫০ ডলারের নোট দেন।
বিকেলের দিকে বিক্রি কিছুটা কমে আসে, শুধু মাঝেমধ্যে কোনো ডেলিভারি গাড়ি বা ডাকপিয়ন আসে।
রবিবার সকালে গ্রাহাম ও কেডেনের পরিবার প্রথমে গির্জায় যায়। ঘরে ফিরে এসে তারা গরমের পোশাক পরে আবার দোকান খোলে।
সূত্র: ডালাস নিউজ