ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি সইয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন ট্রাম্প
ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করতে আগামী সপ্তাহের প্র্রথমভাগেই মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করতে আগামী সপ্তাহের প্র্রথমভাগেই মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরিকল্পনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তবে তার সফরের সুনির্দিষ্ট সময় এখনো ঠিক হয়নি বলে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সব বাকি জিম্মির মুক্তির ব্যবস্থা করেছি। তারা সোমবার বা মঙ্গলবার মুক্তি পাবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরও জানান, সফরের সঠিক সময় এখনো ঠিক হয়নি, তবে চুক্তি সই হবে মিসরে, যেখানে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিলেন। বুধবার তিনি ইসরায়েল সফরের সম্ভাবনারই আভাস দিয়েছিলেন।
দুই বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের অবসানে প্রথম ধাপের চুক্তি সম্পাদনে সহযোগিতার জন্য ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ও বিশ্বনেতাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই চুক্তির অধীনে হামাস সব বাকি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, ‘এরদোয়ান ব্যক্তিগতভাবে হামাস ও অন্যান্য পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, কাতার, ইন্দোনেশিয়া ও আরও কয়েকটি দেশও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তাঁর ভাষায়, ‘এই চুক্তি সম্পাদনে গোটা বিশ্ব একত্রিত হয়েছে।’
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, গত গ্রীষ্মে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলা এই চুক্তি বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। ওই হামলা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে অগ্রসর হতে বাধা দিয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমরা যদি ইরানের সঙ্গে ওই পদক্ষেপ না নিতাম, তবে এই চুক্তির ওপর এক অন্ধকার ছায়া পড়ত।’
চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধের অবসান ও জিম্মিদের মুক্তি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন অধ্যায় যোগ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
তথ্যসূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট