গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ

যুক্তরাজ্য থেকে স্পেন, ইতালি থেকে পতুর্গাল-ইউরোপের দেশে দেশে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ–মিছিল করেছেন। যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন ও পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে এসব বিক্ষোভ হয়েছে।

Oct 5, 2025 - 16:34
গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ইউরোপের দেশে দেশে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন হাজারও মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য থেকে স্পেন, ইতালি থেকে পতুর্গাল-ইউরোপের দেশে দেশে গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভমিছিল করেছেন। যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশে এসব বিক্ষোভ হয়েছে।

স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ এবং দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ বার্সেলোনায় শনিবার যে বিক্ষোভ হয়েছে, তার ডাক দেওয়া হয়েছিল কয়েক সপ্তাহ আগেই। তবে ইতালির রোম কিংবা পর্তুগালের লিসবনে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী নৌবহরগ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাকে ইসরায়েল আটক করার পর।

ভূমধ্যসাগরে থাকতেই নৌবহরটি আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের নৃশংস হামলা দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা হিসেবে নৌবহর বার্সেলোনা থেকে রওনা দিয়েছিল। নৌবহর থেকে আটক ৪৫০ মানবাধিকারকর্মী অন্যদের মধ্যে ৪০ জনের বেশি স্পেনের নাগরিক। যার মধ্যে আছেন বার্সেলোনার সাবেক এক মেয়রও।

এদিকে গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত শুক্রবার ইতালিতে এক দিনের সাধারণ ধর্মঘটে ২০ লাখের বেশি মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন।

গত কয়েক সপ্তাহে স্পেনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সরকার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চরম দক্ষিণপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছে।

ইসরায়েলি সাইক্লিং দল গত মাসে একটি সাইক্লিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে স্পেনে গিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। এতে প্রতিযোগিতার আয়োজন ব্যাহত হয়।

ওই সময় স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গাজায় চলমান যুদ্ধকেজাতিহত্যাবলে আখ্যা দেন এবং আন্তর্জাতিক সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলি দলের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

বার্সেলোনার টাউন হল কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানে শনিবারের বিক্ষোভে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে ধারণা পুলিশের। বিক্ষোভে অংশ নিতে অন্য একটি শহর থেকে এক ঘণ্টা যাত্রা করে বার্সেলোনা এসেছেন ৬৩ বছর বয়সী মারিয়া জেসুস পাররা। বিক্ষোভমিছিলে ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচু করে ধরে রাখা মারিয়া বলেন, ‘১৯৪০এর দশকে (ইউরোপে যেমন) দেখেছিলাম, তেমন একটি জাতিহত্যা এবার আমরা চোখের সামনে ঘটতে দেখছি, এও কীভাবে সম্ভব? এখন আর কেউ এটা বলতে পারবে না যে, সেখানে কী ঘটছে, তারা সেটা জানতেন না।

বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনেও। ম্যানচেস্টারে একটি সিনাগগে প্রাণঘাতী হামলার পর পুলিশ লন্ডনে গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ স্থগিত করার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু অনুরোধ উপেক্ষা করে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সমর্থনে লন্ডনে গতকাল একটি বিক্ষোভমিছিল বের হয়। পুলিশ মিছিল থেকে অন্তত ৪৪২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই সংখ্যা ৫০০ বলে জানিয়েছে ইংল্যান্ডের কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম।

তথ্যসূত্র: আলজাজিরা