প্লানোয় ডার্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভোটের সিদ্ধান্ত
ডালাস এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিট ( ডার্ট ) থেকে সরে আসা উচিত কি না, সে বিষয়ে ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক্সাসের প্লানো সিটি কর্তৃপক্ষ। বুধবারের (৫ নভেম্বর) দীর্ঘ বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের মে মাসে হবে ভোট।
ডালাস এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিট ( ডার্ট ) থেকে সরে আসা উচিত কি না, সে বিষয়ে ভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেক্সাসের প্লানো সিটি কর্তৃপক্ষ। বুধবারের (৫ নভেম্বর) দীর্ঘ বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের মে মাসে হবে ভোট।
এই সপ্তাহেই উত্তর টেক্সাসের আরও দুটি শহর—ফারমার্স ব্রাঞ্চ ও হাইল্যান্ড পার্ক একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার রাতের তিন ঘণ্টার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক বাসিন্দা, যাদের বেশিরভাগই ডার্ট রাখার পক্ষে মত দেন।
ক্যারোলটনের বাসিন্দা জেন হারমন বলেন, ‘আমি প্লানোতে চিকিৎসকের কাছে যেতে ডার্ট ব্যবহার করি। যদি আমাদের সেবা বন্ধ হয়ে যায়, কী হবে তা ভেবে আমি আতঙ্কিত।’
ভোটে যদি বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়, তবে ডার্টের সেবা সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাবে। অবশ্য শহর প্রশাসন বলছে, বিকল্প হিসেবে ‘মাইক্রো ট্রানজিট’ সিস্টেম চালুর পরিকল্পনা আগেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডালাস এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিটের আর্থিক মডেলকে ৪২ বছরের পুরোনো মনে করে প্লানো সিটি। এর সংস্কারের চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে তারা। ২০২৩ সালে প্লানোর করদাতারা ডালাস এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিটে ১০৯ মিলিয়ন ডলার অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু প্লানো সিটিতে ব্যয় করা হয়েছে মাত্র ৪৪ ডলার।
ডাউনটাউন প্লানোর রেল স্টেশনের কাছাকাছি বসবাসকারী ক্যাথি বেকার বৈঠকে বলেন, ‘প্রতিদিন দেখি, এই পরিবহন ব্যবস্থা এখন আশঙ্কার জায়গা হয়ে উঠেছে। এটি পরিবহনের সুযোগের বদলে আমাদের এলাকায় অপরাধ, বিশৃঙ্খলা ও ভয় নিয়ে এসেছে।’
তবে ডার্টের প্রধান নির্বাহী নাদিন লি বৈঠকে জানান, সংস্থা প্লানোর উদ্বেগ দূর করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার ভাষায়, ‘গত চার বছরে নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে ডার্ট ১১ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। অপরাধের হার দুই অঙ্কে কমে এসেছে।’
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্লানো মেয়র জন মানস বলেন, ‘এটি ডার্ট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ভোট নয়, বরং ভোট আয়োজনের অনুমোদন। নাগরিকদের মতামত জানাই এখানে মূল লক্ষ্য।’
ভোটের এই সিদ্ধান্ত এলো ডার্টের নতুন সিলভার লাইন চালুর কয়েক দিনের মধ্যেই, যা শহরের গণপরিবহনে নতুন অধ্যায় খুলে দিয়েছে।
তথ্যসূত্র: এনবিসি ৫