মিসরে ইসরায়েল-হামাসের পরোক্ষ আলোচনা শুরু
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে। সোমবার (৬ অক্টোবর) মিসরে এই আলোচনা শুরু হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই আলোচনা। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদনের চেষ্টা করছেন। হোয়াইট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট মিসরে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আলোচনা কত দিন চলবে, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি যুদ্ধবিরতি চান, তিনি চান জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হোক। এসব আলোচনা চলছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য কিছু ধাপ উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এতে বেশ কিছু মৌলিক বিষয় অমীমাংসিত রয়ে গেছে। ইসরায়েল পরিকল্পনাটি সম্পূর্ণ সমর্থন করেছে। আর হামাস আংশিকভাবে সম্মত হয়েছে। পরিকল্পনায় বর্ণিত বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়ার সঙ্গে তারা নীতিগতভাবে একমত বলে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে মাঠপর্যায়ের কিছু শর্ত পূরণ না হলে তা কার্যকর হবে না। যেহেতু জিম্মিরা হামাসের আলোচনার প্রধান হাতিয়ার, তাই তারা অন্য ধাপগুলো চূড়ান্ত হওয়ার আগে জিম্মিদের মুক্তি দেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেছেন, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ ছাড়া কোনো সমঝোতা সম্ভব নয়। কিন্তু হামাসের প্রতিক্রিয়ায় নিরস্ত্রীকরণের কোনো উল্লেখ না থাকায় বোঝা যাচ্ছে, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।
পরিকল্পনায় গাজায় একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কথা বলা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সহায়তায় পরিচালিত হবে এবং পরে তা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) হাতে হস্তান্তর করা হবে। তবে নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনে পিএ-এর কোনো ভূমিকা থাকা উচিত নয়।
গাজার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ইসরায়েলের সরে আসার প্রক্রিয়াটি তিন ধাপে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এর সময়সীমা অস্পষ্ট, যা নিয়ে হামাস আলোচনা জোরদার করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তো কায়রোর পরোক্ষ আলোচনায় বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন কারা? হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া ওই আলোচনায় একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্পও মিসরে দুজন বিশেষ দূত পাঠিয়েছেন। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক আলোচক স্টিভ উইটকফ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন