বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু, আহত ছয় শতাধিক
রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয় শরও বেশি মানুষ।
রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ছয় শরও বেশি মানুষ।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকার মুগদায় নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে পড়ায় একজন নিরাপত্তাকর্মী, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দেয়াল ধসে ১০ মাসের এক শিশু এবং নরসিংদীতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে ৬০৬ জন আহত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬৭ জন ভর্তি রয়েছেন এবং গুরুতর অবস্থায় ১৬ জনকে অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হওয়া আহতদের তথ্য যোগ হলে আহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুরান ঢাকার কসাইটুলিতে রাফিউল ইসলাম (২০), আব্দুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২) রেলিং ধসে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মুগদার মদিনাবাগে রেলিং পড়ে নিরাপত্তাকর্মী মাকসুদের (৫০) মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের ইসলামবাগ এলাকায় দেয়াল ধসে মারা গেছে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা। তার মা গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারকে প্রাথমিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
নরসিংদীতে পৃথক পৃথক ঘটনায় পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনের ইটধসে শিশু ওমর (৮) এবং তার বাবা দেলোয়ার হোসেন মারা যান। পলাশ উপজেলার মালিতা গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) প্রাণ হারান। গাছ থেকে পড়ে মারা যান ফোরকান মিয়া (৪৫)। আতঙ্কে স্ট্রোক করে নাসিরউদ্দিন (৬৫)–এর মৃত্যুর কথাও নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
তথ্যসূত্র: ইউএনবি, আজকের পত্রিকা, বাসস