টেক্সাসে ডিক চেনিকে শ্রদ্ধায় স্মরণ
এসএমইউ ক্যাম্পাসে অবস্থিত জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্টিয়াল লাইব্রেরির সামনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
এসএমইউ ক্যাম্পাসে অবস্থিত জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্টিয়াল লাইব্রেরির সামনে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।
জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের অধীনে ৪৬তম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা চেনি সোমবার রাতে নিউমোনিয়া ও হৃদযন্ত্রজনিত জটিলতায় মারা যান বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বুশ বলেন, ‘লরা আর আমি চেনিকে সবসময় একজন মর্যাদাসম্পন্ন, সৎ মানুষ হিসেবে মনে রাখব। ইতিহাস তাকে তার প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনসেবক হিসেবে স্মরণ করবে।’
দৃঢ় রক্ষণশীল রাজনীতিক চেনি তিনটি প্রশাসনে কাজ করেছেন এবং ওয়াইওমিং থেকে কংগ্রেসে কয়েক দশক প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে টেক্সাসের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
এসএমইউ-র রাজনৈতিক বিজ্ঞান অধ্যাপক ক্যাল জিলসন বলেন, ‘তিনি ওয়াইওমিংয়ের মানুষ হলেও টেক্সাসকেও ভালোবাসতেন। এক অর্থে তিনি দুই রাজ্যেরই মানুষ ছিলেন।’
চেনি একসময় ডালাসভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি হ্যালিবার্টন-এর প্রধান নির্বাহী ছিলেন। ২০০০ সালে তৎকালীন টেক্সাস গভর্নর জর্জ বুশ নিজের রানিংমেট খোঁজার জন্য চেনিকে নিয়োগ দেন। শেষ পর্যন্ত সেই দায়িত্বটাই নিজের কাঁধে তুলে নেন চেনি।
তাদের রাজনৈতিক অংশীদারিত্বকে অনেকে ‘সহ-প্রেসিডেন্সি’ বলতেন। যদিও অধ্যাপক জিলসনের মতে, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সবসময়ই বুশ নিতেন, তবে শেষ মুহূর্তে পরামর্শ দিতেন চেনি।’
৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে বড় প্রভাব ফেলেন চেনি। ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ নিয়েও তিনি দৃঢ় অবস্থান নেন, যদিও সেখানে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। জিলসন বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে আট বছর একসঙ্গে কাজের সময় বুশ ধীরে ধীরে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন, কিন্তু তারা ছিলেন প্রকৃত অংশীদার।’
তার মতে, আমেরিকানরা শেষ পর্যন্ত চেনিকে তার অর্ধশতাব্দীর জনসেবার জন্যই মনে রাখবে।
তথ্যসূত্র: এনবিসি ৫