কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের দায় স্বীকার টেক্সাসের গেটওয়ে চার্চের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট মরিসের
শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের খ্যাতনামা খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ও গেটওয়ে চার্চের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট মরিস। ৪০ বছর আগে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

শিশু নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের খ্যাতনামা খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ও গেটওয়ে চার্চের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট মরিস। ৪০ বছর আগে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আনা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
ওসেজ কাউন্টিতে নির্ধারিত এক শুনানিতে মরিস স্বীকারোক্তি দেন। পরে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৬ মাস সরাসরি জেলে কাটাতে হবে এবং বাকি সাড়ে ৯ বছর তিনি টেক্সাসে প্রবেশনে থাকবেন। তাকে যৌন অপরাধী হিসেবেও নিবন্ধিত হতে হবে। এখানেই শেষ নয়, ভুক্তভোগী সিন্দি ক্লেমিশায়ারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লাখ ৭০ হাজার ডলারও দিতে হবে তাকে।
পুরো পরিবার নিয়ে মরিস আদালতের শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন। শুনানি শুরু হওয়ার আগে তিনি পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে ধরেন ও স্ত্রীকে চুমু দেন। ওসেজ কাউন্টির বিশেষ জেলা বিচারক সিন্ডি পিকারিল রায় ঘোষণার পরপরই মরিসকে হাতকড়া পরিয়ে কাউন্টি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনাটা ১৯৮২ সালের। মরিস তখন ওকলাহোমার হোমিনি শহরে ভ্রাম্যমাণ খ্রিষ্টান প্রচারক হিসেবে কাজ করতেন। সেসময় ১২ বছরের কিশোরী সিন্ডি ক্লেমিশায়ারের পরিবারের সঙ্গে থাকতেন মরিস। চার বছর ধরে তিনি শিশুটিকে নির্যাতন করার অভিযোগ প্রমাণিত হয় আদালতে।
মরিসের শাস্তির পর এক বিবৃতিতে সিন্ডি ক্লেমিশায়ার বলেন,‘ অবশেষে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে মানুষটি আমাকে ১২ বছর বয়সে প্রলুব্ধ করে, প্রতারণা করে ও নির্যাতন করেছে, সে অবশেষে কারাগারে যাচ্ছে। আমার আশা, আমার গল্প শুনে আরও অনেকে সাহস পাবে কথা বলার। শিশু ও ভুক্তভোগীদের অধিকার যেন আরও সুরক্ষিত হয়—এই কামনা করি। শিশু যৌন নির্যাতন থামানোর একমাত্র উপায় হলো, কেউ যখন এটি ঘটতে দেখে বা সন্দেহ করে, তখনই কথা বলা।’
তথ্যসূত্র: সিবিসি নিউজ