জাপানে ভালুক আতঙ্ক: রেকর্ড মৃত্যু, দমনে শিকারি নিয়োগ
চলতি বছর জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড ১২ জনের মৃত্যু ও শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০০ সাল থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর এটি দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
চলতি বছর জাপানে ভালুকের আক্রমণে রেকর্ড ১২ জনের মৃত্যু ও শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০০ সাল থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর এটি দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার এখন লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিকারি নিয়োগ ও প্রয়োজনে ভালুক গুলি করে দমনের অনুমতি দিতে যাচ্ছে। দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়া ভালুক নিয়ন্ত্রণে নতুন তহবিল বরাদ্দ করা হবে। একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এসব পদক্ষেপের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সরকার ভালুককে জননিরাপত্তার জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সুপারমার্কেট, এমনকি হাইস্কুলেও ভালুক দেখা গেছে। উত্তরাঞ্চলীয় আকিতা প্রিফেকচারে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ—এখানেই সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, আত্মরক্ষাবাহিনীর সদস্যদের মাঠে নামানো হবে ভালুক ধরতে ও তাড়াতে।
তবে সরকার এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জাপানের বর্তমান আইন অনুসারে সেনারা ভালুককে গুলি করতে পারে না, কেবল শিকারিদের সহায়তা করতে পারে। অন্যদিকে, শিকারির সংখ্যা দ্রুত কমছে এবং অধিকাংশই প্রবীণ। একসময় পশম ও পিত্তের জন্য ভালুক শিকার জনপ্রিয় ছিল, এখন তা প্রায় বিলুপ্ত। ফলে গ্রামীণ এলাকাগুলো আরও ঝুঁকিতে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভালুকের প্রধান খাদ্য ‘বিচ নাট’-এর অভাব দেখা দিয়েছে, এতে তারা ক্ষুধার্ত হয়ে মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে। এছাড়া গ্রামীণ জনসংখ্যা হ্রাস ও জনশূন্য বসতিগুলিও ভালুকের বিস্তার বাড়াচ্ছে।
সংকট মোকাবিলায় সরকার সেপ্টেম্বরে অস্ত্র আইন শিথিল করেছে, যাতে আবাসিক এলাকায় ভালুককে গুলি করা সহজ হয়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি