প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান: সুশীলা কারকির উত্থান
নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুশীলা কারকি এখন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেল তাঁকে শপথ করান।

নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুশীলা কারকি এখন দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় শুরু হওয়া সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ৫১ জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেল তাঁকে শপথ করান।
বিচারপতি থাকাকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত ছিলেন সুশীলা কারকি। প্রভাবশালী মহলের স্বার্থবিরোধী অবস্থানের কারণে তাঁকে অভিশংসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও জনমতের চাপে তা ব্যর্থ হয়। পরে তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন।
নেপালের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে এল ভান্ডারি বলেন, “তিনি কখনো নিজের নীতি থেকে সরেননি। সংকটময় সময়ে তাঁর মতো মানুষই নেতৃত্ব দিতে উপযুক্ত।” তবে আরেক আইনজীবী দীপেন্দ্র ঝা মনে করেন, তাঁকে সফল হতে একটি শক্তিশালী দল প্রয়োজন হবে।
১৯৫২ সালে সুশীলা কারকি জন্ম নেন পূর্ব নেপালের শঙ্করপুর গ্রামে। কৃষক পরিবারের সাত ভাই–বোনের মধ্যে তিনি বড়। ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার পর ১৯৭৯ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। শিক্ষার্থী থাকাকালে নেপালি কংগ্রেসে সক্রিয় ছিলেন এবং পঞ্চায়েতব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাভোগও করেন।
২০১৬ সালে তিনি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হন। সেই বছরই এক সাক্ষাৎকারে তাঁর ছোট বোন বলেছিলেন, “শৈশব থেকেই তিনি সবাইকে সমান চোখে দেখতেন এবং আমাদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতেন।”
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সিএনএন–নিউজ এইটিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশীলা কারকি প্রতিশ্রুতি দেন—“আমরা দেশের জন্য নতুন কোনো সূচনা করার চেষ্টা করব।”