মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যে আয়ের তথ্য প্রকাশ করতে যাচ্ছে টেসলা ও নেটফ্লিক্স
এক দিকে যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, আরেক দিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন, এর মধ্যেই টেসলা ও নেটফ্লিক্সসহ বড় কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকের আয় প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
এক দিকে যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, আরেক দিকে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন, এর মধ্যেই টেসলা ও নেটফ্লিক্সসহ বড় কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকের আয় প্রকাশ করতে যাচ্ছে।
গত সপ্তাহে টানা ওঠানামার পর শুক্রবার এসঅ্যান্ডপি ৫০০, নাসডাক ও ডাও জোন্স সূচক সামান্য উত্থানে বন্ধ হয়। নতুন সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের নজর থাকবে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাপক কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের দিকে, যা ১৫ অক্টোবরের পরিবর্তে শুক্রবার প্রকাশ পাবে।
তবে শ্রম, বাণিজ্য ও খুচরা বিক্রিসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক এখনও অনুপস্থিত থাকবে। ফেডারেল রিজার্ভও তাদের অক্টোবর সভার আগে তথাকথিত ‘ব্ল্যাকআউট’ সময়ে প্রবেশ করেছে।
গত সপ্তাহে ব্যাংকগুলোর শক্তিশালী ফলাফলের পর এবার অপেক্ষা প্রযুক্তি ও ভোক্তা পণ্যের জায়ান্টদের আয় কেমন হয়, তা দেখার। এই সপ্তাহে টেসলা, ইন্টেল, নেটফ্লিক্স, কোকা–কোলা, লকহিড মার্টিন ও নর্থরপ গ্রুম্যানসহ বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ত্রৈমাসিক আয়ের তথ্য প্রকাশ করবে।
চীনের নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জবাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন, যদিও পরে সেটি প্রত্যাহার করেন। এরপর চীনের মার্কিন সয়াবিন কেনা বন্ধ করাকে ‘অর্থনৈতিক শত্রুতাপূর্ণ’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র‘ইতিমধ্যেই এক বাণিজ্যযুদ্ধে আছে। পরে জানান, এমন উচ্চ শুল্কনীতি টেকসই নয়। এই অস্থিরতার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনা কিনছেন। আর তাতে টানা নবম সপ্তাহে সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্সে ৪,২৪০ ডলারে। জেপি মরগ্যানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বৈদেশিক বিনিয়োগের অল্প অংশ সোনায় গেলে দাম ৬,০০০ ডলার ছুঁতে পারে।
হোয়াইট হাউস নভেম্বরে বিদেশি তৈরি মাঝারি ও ভারী ট্রাকে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। তবে ট্রাক নির্মাতাদের আপত্তির পর যন্ত্রাংশকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এদিকে তেলবাজারেও চাপ বাড়ছে। টানা তৃতীয় সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড ও ওয়েস্ট টেক্সাস ক্রুডের দাম যথাক্রমে ২.৩ ও ২.৮ শতাংশ কমেছে। ওপেক+ জোট উৎপাদন বাড়িয়ে দিচ্ছে, ফলে বাজারে তেলের সরবরাহ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা জানিয়েছে, আগামী বছর দৈনিক চার মিলিয়ন ব্যারেল তেল উদ্বৃত্ত হতে পারে—যা বৈশ্বিক চাহিদার প্রায় ৪ শতাংশ।
চীনের অতিরিক্ত মজুদ এবং ইরান–ইসরায়েল উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা বাজারে আরও চাপ বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন এজেন্সি অনুমান করছে, ২০২৬ সালে তেলের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫২ ডলারে নেমে আসবে, যা শিল্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
তথ্যসূত্র: ইয়াহু নিউজ