মেক্সিকোর ওপর ৩০% শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যদি ১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূল বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে তিনি মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৩০% শুল্ক বসাবেন। তিনি জানান, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য বাজার খুলে দেবে এবং শুল্ক বাধা কমাবে, তাদের ক্ষেত্রে এই শুল্ক পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। 

Jul 13, 2025 - 10:26
মেক্সিকোর ওপর ৩০% শুল্ক আরোপের হুমকি  ট্রাম্পের
ছবি: ব্লুমবার্গের সৌজন্যে

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যদি ১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুকূল বাণিজ্য চুক্তি না হয়, তাহলে তিনি মেক্সিকো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৩০% শুল্ক বসাবেন। তিনি জানান, যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য বাজার খুলে দেবে এবং শুল্ক বাধা কমাবে, তাদের ক্ষেত্রে এই শুল্ক পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে। 

এ ব্যাপারে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন বলেন, 'আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এই চিঠির বিষয়ে অবগত। এটি উভয় অর্থনীতির জন্যই ক্ষতিকর হবে।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা ১ আগস্টের আগেই একটি চুক্তির জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত, তবে ইউরোপীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।'

এপ্রিল মাসে ট্রাম্প প্রথমে ইইউ-এর ওপর ২০% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, পরে ৯০ দিনের এক আলোচনামূলক বিরতিতে তা কমিয়ে ১০% করেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি আবার তা বাড়িয়ে ৫০% করার হুমকি দিয়েছিলেন। এখন তিনি সরাসরি ৩০% শুল্ক আরোপের তারিখ ঘোষণা করলেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ট্রাম্পের পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। ডাচ প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কোফ বলেন, 'ইইউ-কে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক সমাধানের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে।'

অন্যদিকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমকে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেন, 'আপনারা সীমান্ত নিরাপদ রাখতে আমাকে সহায়তা করেছেন, তবে তা যথেষ্ট নয়।' তিনি ফেন্টানিল পাচার বন্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।

তবে ট্রাম্প জানান, ইউএসএমসিএ অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির আওতাভুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে ৩০% শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। কানাডার ক্ষেত্রেও পূর্বনির্ধারিত ৩৫% শুল্ক থাকবে, তবে জ্বালানি পণ্যের জন্য ১০% শুল্ক বহাল থাকবে।

মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড 'অন্যায্য' বলে নতুন শুল্কের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা এরইমধ্যে একটি স্থায়ী দ্বিপাক্ষিক দল গঠন করেছি যা নিরাপত্তা, অভিবাসন ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। এর প্রথম কাজই হবে বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে বের করা যাতে সীমান্তের উভয় পারের ব্যবসা ও চাকরির ক্ষতি না হয়।'

ট্রাম্প এখন পর্যন্ত কানাডা, ব্রাজিল ও মেক্সিকোকে এই ধরনের চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, আলজেরিয়া, লিবিয়া, ইরাকসহ বেশ কয়েকটি দেশকে উচ্চ শুল্কের জন্য চিহ্নিত করেছেন।

বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে এর ফলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

সোর্স: ব্লুমবার্গ