ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থের রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে
বিনিয়োগকারীরা রিয়েল এস্টেট মার্কেটে ফেরত আসছে। গত কয়েক বছরের মন্দা পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজ ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাভিসন ইয়াং-এর একটি প্রতিবেদনের মতে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বাজার পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেছে।

বিনিয়োগকারীরা রিয়েল এস্টেট মার্কেটে ফেরত আসছে। গত কয়েক বছরের মন্দা পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট ব্রোকারেজ ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাভিসন ইয়াং-এর একটি প্রতিবেদনের মতে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে বাজার পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেছে।
টরন্টো ভিত্তিক এই কোম্পানি ডালাস ফোর্ট ওয়ার্থ মেট্রো এলাকায় মোট ৫৩৬টি রিয়েল এস্টেট লেনদেন রেকর্ড করেছে, যার মোট মূল্য ছিল ১৩.৫ বিলিয়ন ডলার — যা আগের বছরের তুলনায় ৮৯% বৃদ্ধি।
২০২৫ সালের প্রথমার্ধে নতুন উন্নয়ন স্থল বিনিয়োগের লেনদেনের পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ৬৮০% বৃদ্ধি পেয়ে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে বিনিয়োগ প্রায় ১৪০% বেড়েছে এবং ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে এর মোট লেনদেন হয়েছে ৬.৩ বিলিয়ন ডলার, যা সবচেয়ে বেশি।
অফিস ও রিটেইল লেনদেনে বৃদ্ধি লক্ষণীয় হলেও কেবল ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিনিয়োগে পতন হয়েছে।
অ্যাভিসন ইয়াং-এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বিক্রয়ের সিনিয়র পরিচালক এরিক এডিন বলেন,'ডালাসে সবচেয়ে সক্রিয় ক্ষেত্র হলো মাল্টিফ্যামিলি (বহু পরিবারের আবাসন)।'
কয়েক বছর ধরে উচ্চ সুদের হারের কারণে বিনিয়োগকারীরা পিছিয়ে গিয়েছিলেন। করোনাকালে অতিরিক্ত নির্মাণের কারণে ভাড়ার হারও কমে গিয়েছিল, যা বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগে দ্বিগুণ ধাক্কা দিয়েছিল।
বিনিয়োগকারীরা কম ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প যেমন মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন।
কিন্তু বাজার এখন নিজেকে ঠিক করে নিচ্ছে।
এরিক এডিন বলেন, 'আগামী বছরে ডেলিভারি প্রায় ৭০% কমবে, নতুন প্রকল্পও কম শুরু হচ্ছে, তাই বিনিয়োগকারীরা এখনই এগিয়ে আসছেন এবং বলছেন—‘ঠিক আছে, শুরুতে কম লাভ হলেও, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরে ভালো রিটার্ন আসবে।’
মূলত তারা সরবরাহ কমে ভাড়া হার বাড়ার আশায় বিনিয়োগ করছেন, যা সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি করবে।
যদিও এই সংখ্যা উত্সাহজনক, এডিন সতর্ক করেছেন যে, বাজার এখনও ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে হারানো গতি ফিরে পায়নি, তখন সুদের হার বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যিক রিয়েল এস্টেটের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, 'আমরা এখনও ২০২১ সালের অর্ধেক পর্যায়ে আছি। আমি মনে করি এই প্রবণতা আরও বাড়বে। আরও অনেক টাকা বাজারে আসতে পারে এবং এখন অনেক টাকা মুক্ত হচ্ছে।'
বাজারে পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা গেলেও এখনও বিনিয়োগের আরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: ডালাস মর্নিং