ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিক্স ইনভাইটেশনাল ২০২৫: বাংলাদেশের উদীয়মান গণিতবিদদের দুর্দান্ত সাফল্য

ডব্লিউএমআই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ২৫–২৮ জুলাই থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। সেখানে ২৩টি দেশের প্রায় ১৫০০ তরুণ গণিত প্রতিভা অংশ নিয়েছিল।

Aug 19, 2025 - 08:11
ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিক্স ইনভাইটেশনাল ২০২৫: বাংলাদেশের উদীয়মান গণিতবিদদের দুর্দান্ত সাফল্য

ওয়ার্ল্ড ম্যাথমেটিক্স ইনভাইটেশনাল ২০২৫-এর ফাইনালে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তারা ৪টি স্বর্ণ, ৬টি রৌপ্য, ৮টি ব্রোঞ্জ এবং ৪টি মেধা পদক জিতেছে। প্রথমবারের মতো বাংলার ম্যাথ-এর অধীনে অংশ নেয়া ২২ জন তরুণ গণিতবিদ সবাই পদক জিতেছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি অসাধারণ অভিষেক।

স্বর্ণপদক জয়ী হিসেবে রয়েছে অর্ণব রঞ্জন পাল (চতুর্থ শ্রেণি, আনন্দনিকে্তন স্কুল ও কলেজ), আরিয়া ইন্তিশার চৌধুরী (পঞ্চম শ্রেণি, গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সতর্কুল), মারজানা মানহা (সপ্তম শ্রেণি, এসএফএক্স গ্রিন হারাল্ড স্কুল) এবং মোঃ তাহসিন ইসলাম (দশম শ্রেণি, কুমিল্লা জিলা স্কুল)। এদের মধ্যে তাহসিন সর্বোচ্চ স্কোরের জন্য সম্মানজনক 'স্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেছেন।

রৌপ্যপদক জিতেছেন জাসিয়া রাওজাত (মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল), রায়েদ ফারজাদ (সানিডেল স্কুল), আর্যশ্রেষ্ঠ ঘোষ (হলি ক্রস গার্লস হাই স্কুল), মোঃ আবদুল আল হাসিব (মিরপুর বাংলা স্কুল ও কলেজ), আইয়ান জামান (গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল) এবং মোঃ রাহিম হাসান (ও-লেভেল, স্কলাস্টিকা স্কুল)।

ব্রোঞ্জপদক জয়ী শিক্ষার্থীরা হলেন ফায়জাহ নূমা (একাডেমিয়া স্কুল), রাজর্ষি সাহা (আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ), রিশান আন নাফি (ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজ), মুনতাহা মানহা (সানিডেল স্কুল), আহবাব জুলকিফাল জাহিন (রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল), ইশাম ওয়াফিদুর রহমান (সানিডেল স্কুল), সাদ বিন আহমেদ (সেন্ট গ্রেগরিস হাই স্কুল ও কলেজ) এবং নাহিয়ান পারিন ইফা (রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ)।

মেধা সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন গৈরিক পাল (ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড স্কুল), মৃন্ময়ী ঘোষ (হলি ক্রস গার্লস হাই স্কুল), শাওন্তিকা দাস মেঘা (খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল) এবং দেওয়ান মোঃ সুনান (বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ)।

প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২০০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল জাতীয় স্তরের নির্বাচনী কার্যক্রম বাংলার ম্যাথ এক্সিলেন্সি চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫-এ। জাতীয় রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় ৩০ মে, ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে, যেখানে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে ১০০ বিজয়ী চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় এবং তাদের মধ্য থেকে ২২ সদস্যের জাতীয় দল গঠন করা হয়।

ডব্লিউএমআই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ২৫–২৮ জুলাই থাইল্যান্ডের ব্যাংককে। সেখানে ২৩টি দেশের প্রায় ১৫০০ তরুণ গণিত প্রতিভা অংশ নিয়েছিল। বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব ও পরামর্শ দিয়েছিলেন বাংলার ম্যাথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল আল শাকুর, মাহতাব হোসেন এবং আহমেদ শাহরিয়ার।