যেসব অপরাধে বাতিল হবে নাগরিকত্ব
যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেওয়া পে চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) ও অন্যান্য আর্থিক সহায়তা কর্মসূচিতে জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার। যারা অভিবাসী বা প্রাকৃতিকীকরণ (ন্যাচারালাইজেশন) প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তারা নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এছাড়া, আরও বিভিন্ন অপরাধের কারণে বাতিল হতে পারে নাগরিকত্ব।

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ মহামারির সময় দেওয়া পে চেক প্রোটেকশন প্রোগ্রাম (পিপিপি) ও অন্যান্য আর্থিক সহায়তা কর্মসূচিতে জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির সরকার। যারা অভিবাসী বা প্রাকৃতিকীকরণ (ন্যাচারালাইজেশন) প্রক্রিয়ায় নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তারা নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এছাড়া, আরও বিভিন্ন অপরাধের কারণে বাতিল হতে পারে নাগরিকত্ব।
প্রতারণা প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জেল, মোটা অঙ্কের জরিমানা, এমনকি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আসতে পারে।
সম্প্রতি ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস (ডিওজে) এক অভ্যন্তরীণ মেমোতে এসব প্রতারণায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।
মেমোতে বলা হয়, ফৌজদারি নয়, বরং দেওয়ানি আদালতের মাধ্যমে দ্রুত নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে। এতে অভিযুক্তদের আইনজীবী পাওয়ার সুযোগও সীমিত থাকবে।
ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ইতোমধ্যে কয়েক হাজার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেকেই ভুয়া ব্যবসা দেখিয়ে পিপিপি ঋণ নিয়েছেন এবং সেই অর্থ ব্যয় করেছেন বিলাসবহুল গাড়ি, রোলেক্স ঘড়ি, সোনা, হীরা, প্রাইভেট জেট ও ভ্রমণে।
যুক্তরাষ্ট্রের হিসাব অনুযায়ী, কেবল পিপিপি ও ইআইডিএল কর্মসূচিতে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি হয়েছে। এই টাকার দায় বহন করতে হবে আমেরিকান করদাতা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
এদিকে ডিওজে-র মেমোতে নাগরিকত্ব হারানোর মতো যেসব অপরাধের উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো হলো: ১. সন্ত্রাসবাদ, বিদেশি গুপ্তচর বা হুমকি হিসেবে প্রমাণিত ব্যক্তি; ২. সংবেদনশীল প্রযুক্তি বা তথ্য পাচার; ৩. নির্যাতন, যুদ্ধাপরাধ বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা; ৪. গ্যাং, মাদকচক্র, মানব পাচার, যৌন বা সহিংস অপরাধে সংশ্লিষ্টতা; ৫. নাগরিকত্বের সময় পূর্বের অপরাধ গোপন করা; ৬. পিপিপি ও মেডিকেইড-সংক্রান্ত জালিয়াতি; ৭. অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণা বা দুর্নীতি ইত্যাদি।