পথচারী-চালকদের জন্য টেক্সাসের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শহর ডালাস
ডালাসকে পথচারী ও চালকদের জন্য টেক্সাসের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক বড় শহর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নতুন এক রিপোর্ট। টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, অস্টিন, এল পাসো, ফোর্ট ওয়ার্থ, হিউস্টন ও সান আন্তোনিওর তুলনায় ডালাসে প্রাণহানি বা গুরুতর আহত হওয়ার হার ৫৭% বেশি।
ডালাসকে পথচারী ও চালকদের জন্য টেক্সাসের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক বড় শহর’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নতুন এক রিপোর্ট। টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, অস্টিন, এল পাসো, ফোর্ট ওয়ার্থ, হিউস্টন ও সান আন্তোনিওর তুলনায় ডালাসে প্রাণহানি বা গুরুতর আহত হওয়ার হার ৫৭% বেশি।
শুধু বড় শহর নয়, আশপাশের উপশহরগুলোর তুলনায়ও ডালাসের অবস্থান সবচেয়ে খারাপ।
তো কী কারণে এই শহরের এই অবস্থা? বিশেষজ্ঞদের মতে, রাস্তার নকশার কারণেই পথচারী ও চালকদের জন্য ‘বিপজ্জনক শহর’ হয়ে উঠেছে ডালাস । শহরের স্ট্রিট ডিজাইন ম্যানুয়াল ওয়ার্ক গ্রুপ বলছে, অনেক জায়গায় ফুটপাতের র্যাম্প নেই, আবার কোথাও র্যাম্প এমনভাবে বসানো যে তা সরাসরি ক্রসওয়াকের বদলে মাঝখানে গিয়ে ঠেকে। ফলে হাঁটাচলা বা হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য বিপদ বাড়ে। পাশাপাশি ভুল টার্ন রেডিয়াস ও অতিরিক্ত চওড়া লেন গাড়িগুলোকে আরও দ্রুতগতিতে ছুটতে উৎসাহ দেয়।
শহর কর্তৃপক্ষ গত মাসে গতিসীমা কমানোর উদ্যোগ নিলেও আইন পরিবর্তনের প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। তবে বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, শুধু সাইনবোর্ড নয়—রাস্তার নকশাই চালকদের আচরণ বদলায়। যেমন, গতিসীমা ৩০–৩৫ হলেও চওড়া ও ফাঁকা লেনে চালকেরা সহজে ৫০ গতিতে চলে।
স্কিলম্যান ও ম্যাপল অ্যাভিনিউ—ডালাসের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই দুই সড়কে এখন লেন পুনর্বিন্যাস, কেন্দ্রীয় লেনকে টার্ন লেনে রূপান্তরসহ গতি কমানোর বেশ কিছু কাজ চলছে। এতে নিরাপত্তা বেড়েছে বলে মনে কেরন দায়িত্বশীলরা।
তারপরও শুধু অবকাঠামো যথেষ্ট নয়। অনেক চালক নতুন ক্রসওয়াক সিগন্যালও উপেক্ষা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডালাসে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দরকার আরও সচেতনতা ও ভালো প্রশিক্ষিত ড্রাইভার। তারা মনে করেন, গাড়িনির্ভর এই শহরও চাইলে একই সঙ্গে দ্রুত ও নিরাপদ হতে পারে। এর জন্য দরকার শুধু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
তথ্যসূত্র: ফক্স ফোর