ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরায়েল ইস্যুতে কড়া অবস্থানে সৌদি আরব

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এ মাসেই ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন, তবে আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

Nov 9, 2025 - 12:30
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরায়েল ইস্যুতে কড়া অবস্থানে সৌদি আরব
এ মাসেই ওয়াশিংটনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মাসেই ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন, তবে আলোচনায় বড় কোনো অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সৌদি আরব স্পষ্ট জানিয়েছেস্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রূপরেখা সময়সূচি নির্ধারিত না হলে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে না। উপসাগরীয় কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের আগে রিয়াদ ওয়াশিংটন অবস্থানগত সমন্বয় নিশ্চিত করতে চায়।

২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর এটি মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। ফলে সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক গুরুত্বও অনেক বেশি। ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে বলেছেন, ‘আশা করছি, শিগগিরই সৌদি আরবও আব্রাহাম চুক্তিতে যুক্ত হবে।তবে রিয়াদ বলছে, আগের সেই কাঠামো নয়বরং নতুন বাস্তবতায় একটি পূর্ণাঙ্গ কাঠামো দরকার, যেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা অগ্রাধিকার পাবে।

ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া ইসলামের জন্মভূমি মক্কা-মদিনার তত্ত্বাবধায়ক সৌদি আরবের জন্য শুধু কূটনৈতিক নয়, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ও। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজারো ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর আরব বিশ্বে ইসরায়েলবিরোধী জনমত তীব্র হয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মানাল রাদওয়ান জানিয়েছেন, গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরই মূল শর্ত।

অন্যদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় রিয়াদ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। সম্ভাবনা রয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র-কাতার মডেলে একটি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে, যা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কার্যকর হবে। এতে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি বিনিময়, যৌথ প্রশিক্ষণ প্রতিরক্ষা শিল্পে অংশীদারত্ব অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজা যুদ্ধের পর আলোচনার প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। সৌদি আরব এখন জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আঞ্চলিক ইস্যুতে অবস্থান বদলাবে না। ফলে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা মার্কিন সামরিক সুরক্ষার জটিল সমীকরণের কারণে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার খুবই কম।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স