পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডো পসাইডনের সফল পরীক্ষা রাশিয়ার
রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র উপকূলীয় অঞ্চল ধ্বংস করতে সক্ষম, কারণ এটি বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করতে পারে।
রাশিয়া সফলভাবে ‘পসাইডন’ নামের পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র উপকূলীয় অঞ্চল ধ্বংস করতে সক্ষম, কারণ এটি বিশাল তেজস্ক্রিয় সমুদ্রঢেউ তৈরি করতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন রাশিয়ার প্রতি কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন, ঠিক সেই সময়েই পুতিন প্রকাশ্যে এই পারমাণবিক শক্তির প্রদর্শন করলেন।
গ্রিক পুরাণের সমুদ্রদেবতা ‘পসাইডন’-এর নামে নামকরণ করা এই টর্পেডো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটি মূলত একটি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন টর্পেডো ও ড্রোনের সমন্বয়ে তৈরি।
বুধবার মস্কোর একটি হাসপাতালে ইউক্রেন যুদ্ধে আহত সৈন্যদের দেখতে গিয়ে পুতিন জানান, মঙ্গলবার সাবমেরিন থেকে টর্পেডোটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমরা সাবমেরিন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করতে পেরেছি এবং এর পারমাণবিক শক্তি ইউনিটও সক্রিয় করেছি। এটি নির্দিষ্ট সময় ধরে কাজ করেছে, এবং একে প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই।’
রুশ সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ন্যাটোতে ‘ক্যানিয়ন’ নামে পরিচিত পসাইডন টর্পেডো ২০ মিটার লম্বা, ১ দশমিক ৮ মিটার ব্যাস এবং ১০০ টন ওজনের। এটি ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক ‘বুরেভেস্তনিক’ ও ‘পসাইডন’ পরীক্ষাগুলো পশ্চিমাদের উদ্দেশে রাশিয়ার একটি স্পষ্ট বার্তা। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের চাপের মুখেও পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া কখনোই মাথা নত করবে না।
এর আগে ২১ অক্টোবর রাশিয়া ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। দেশটির দাবি, এটি বিশ্বের যেকোনো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম।
২০১৮ সালে ‘পসাইডন’ ও ‘বুরেভেস্তনিক’ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। তাঁর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জবাব হিসেবেই এই অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে, বিশেষ করে ওয়াশিংটন যখন ২০০১ সালে একতরফাভাবে অ্যান্টি ব্যালিস্টিক মিসাইল চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং ন্যাটোর সম্প্রসারণ শুরু করে।
এদিকে, রাশিয়ার সাম্প্রতিক পরীক্ষাগুলোর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, পুতিনের উচিত পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা নয়, বরং ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মনোযোগ দেওয়া।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স