যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি অচলাবস্থার পেছনে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক দ্বন্দ্ব
যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকারি অচলাবস্থা তথা শাটডাউন, এটি মূলত স্বাস্থ্যনীতি বিষয়ক এক বিতর্ক থেকে শুরু হয়েছে। মানুষ যে স্বাস্থ্য বীমার প্ল্যান ‘আফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ অথবা ‘ওবামাকেয়ার’-এ কিনে, সেগুলোর প্রিমিয়াম বা মাসিক বীমা খরচের পরিমাণই বিতর্কের কেন্দ্রে।

যুক্তরাষ্ট্রে যে সরকারি অচলাবস্থা তথা শাটডাউন, এটি মূলত স্বাস্থ্যনীতি বিষয়ক এক বিতর্ক থেকে শুরু হয়েছে। মানুষ যে স্বাস্থ্য বীমার প্ল্যান ‘আফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ অথবা ‘ওবামাকেয়ার’-এ কিনে, সেগুলোর প্রিমিয়াম বা মাসিক বীমা খরচের পরিমাণই বিতর্কের কেন্দ্রে।
রিপাবলিকানরা সরকারী ব্যয় কমাতে এই কর ছাড় না বাড়ানোর পক্ষে, আর ডেমোক্র্যাটরা সাধারণ মানুষের বীমা সাশ্রয় রাখতে এই কর ছাড় অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
বীমার প্রিমিয়ামের ওপর দেওয়া অতিরিক্ত কর ছাড় ২০২১ সাল থেকে কার্যকর আছে, যা অনেক আমেরিকানকে বীমা প্রিমিয়াম সাশ্রয় করতে সাহায্য করেছে।
কিন্তু এই সুবিধার মেয়াদ এ বছরের শেষেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুতে, রিপাবলিকানরা একটি স্বল্পমেয়াদি বাজেট বিল পেশ করে, যাতে এই কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়নি। ডেমোক্র্যাটরা সেই বিলের পক্ষে ভোট দিতে অস্বীকার করেন। ফলে, বাজেট পাস না হওয়ায় এই সরকারি অচলাবস্থা।
যারা চাকরির মাধ্যমে বা সরকারি প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যবীমা পান না, এই কর ছাড় তাদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ । এই বছর, রেকর্ড ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এই ওবামাকেয়ার বীমা প্ল্যানে নাম লিখিয়েছেন। যদিও এটি যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭%, তবুও এই জনগোষ্ঠী প্রভাবশালী — এর মধ্যে আছেন ছোট ব্যবসার মালিক, কৃষক ও পশুপালকরা।
কেএফএফ নামের একটি নিরপেক্ষ স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনথিয়া কক্স বলেন, তাঁদের গবেষণায় দেখা গেছে, যদি কংগ্রেস এই কর ছাড় বাড়ায় না, তবে আগামী বছরে মানুষের বীমা প্রিমিয়াম গড়ে ১১৪% বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ, অনেক মানুষকে এখনকার তুলনায় দুই গুণ বেশি প্রিমিয়াম দিতে হবে।
এতে করে অনেক মানুষ বীমা কভারেজ পেতে চাকরি পরিবর্তনের চেষ্টা করবে অথবা বীমা কভারেজ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলবে। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস অনুমান করছে, যদি এই কর ছাড় শেষ হয়ে যায়, তাহলে ৪ মিলিয়ন মানুষ বীমাহীন হয়ে পড়বে।
তবে কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে গেলে সরকারের খরচ হবে ১০ বছরে প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলার।
তথ্যসূত্র: এনপিআর