শাটডাউনে বন্ধুর টাকায় সেনাদের বেতন, ট্রাম্পের দাবিতে বিতর্ক
মার্কিন সরকার অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে সেনাদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ‘বন্ধু’ ১৩০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার জানান, এই অর্থ তারা ‘সাধারণ উপহার গ্রহণ নীতির আওতায়’ গ্রহণ করেছে।
মার্কিন সরকার অচলাবস্থার (শাটডাউন) মধ্যে সেনাদের বেতন দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ‘বন্ধু’ ১৩০ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের মুখপাত্র শন পারনেল শুক্রবার জানান, এই অর্থ তারা ‘সাধারণ উপহার গ্রহণ নীতির আওতায়’ গ্রহণ করেছে।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেন, টাকাটি এসেছে ‘আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে, যিনি স্বীকৃতি চান না।’ তবে দানটির আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিতে ১০ হাজার ডলারের বেশি অনুদান নৈতিকতা কর্মকর্তাদের পর্যালোচনার আওতায় পড়ে, যাতে দাতার কোনো স্বার্থ সরকারের সিদ্ধান্তে প্রভাব না ফেলে।
সিনেটর ডিক ডারবিন বলেছেন, এটি অর্থ ঘাটতি প্রতিরোধ আইন ( Anti-Deficiency Act) লঙ্ঘনের শামিল হতে পারে, কারণ কংগ্রেস অনুমোদিত না হলে সরকার কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারে না। বিশেষজ্ঞ বিল হোগল্যান্ডও মন্তব্য করেন, ‘আইন অনুযায়ী বেতন পরিশোধে ব্যক্তিগত অনুদান ব্যবহার করা যায় না।’
হোয়াইট হাউস জানায়, অক্টোবরের প্রথমার্ধে সেনাদের বেতন বাবদ খরচ হয়েছে ৬.৫ বিলিয়ন ডলার। ‘দান’ থেকে আসা ১৩০ মিলিয়ন ডলার সামরিক বাহিনীর একদিনের বেতনের এক-তৃতীয়াংশ বহন করে মাত্র।
শাটডাউন এখন চতুর্থ সপ্তাহে পৌঁছেছে, ফলে বহু ফেডারেল কর্মী ইতিমধ্যে প্রথম পূর্ণ বেতন হারিয়েছেন। সেনাদের পরবর্তী বেতন কবে ও কীভাবে পরিশোধ হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
তথসূত্র: ফোবর্স