বৃষ্টি উপেক্ষা করে ডালাস-ফোর্ট ওর্থে ‘নো কিংস’ বিক্ষোভ
ডালাসসহ উত্তর টেক্সাসজুড়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষ নামলেন রাস্তায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদে শনিবারের এই বিক্ষোভে শ্লোগান ওঠে ‘নো কিংস’, যা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ডালাসসহ উত্তর টেক্সাসজুড়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষ নামলেন রাস্তায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদে শনিবারের এই বিক্ষোভে শ্লোগান ওঠে—‘নো কিংস’, যা যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শুধু ডালাসই নয়, টেক্সাসের আরলিংটন, ডেন্টন, ফ্লাওয়ার মাউন্ড, ফরনি, গারল্যান্ড ও ম্যাককিনিতেও একযোগে হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। আয়োজকদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের ২,৬০০ শহরে এদিন একই শ্লোগানে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন।
ডালাসের ডাউনটাউনের প্যাসিফিক প্লাজায় প্রায় তিন হাজার মানুষ বৃষ্টির মধ্যেই জমায়েত হন। কারও হাতে আমেরিকান পতাকা, কারও হাতে ‘নো কিংস’ লোগো সম্বলিত পোস্টার। কেউ আবার ‘ডেমোক্রেসি ডাই ইন সাইলেন্স’ লেখা ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন ‘ইনডিভিজিবল ডালাস’-এর সংগঠক সামান্থা মিচেল। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো দলীয় বিষয় নয়, এটা মানবতার প্রশ্ন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।’
ডালাসের বাসিন্দা গ্রেগ অলফোর্ড বলেন, ‘দেশে যা হচ্ছে, তা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। গণতন্ত্রের নামে আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।’
ডেন্টন কাউন্টির বাসিন্দা কিম্বারলি রেইল-মানি ইউনিকর্ন পোশাক পরে বিক্ষোভে যোগ দেন। বলেন, ‘আমি ভালোবাসি আমেরিকাকে, কিন্তু এই বিভাজন নয়। আমরা আবার একসঙ্গে হতে চাই।’
আরলিংটনে প্রায় ১,৪০০ এবং ফ্রিসকোতে ৬০০ জন মানুষ অংশ নেন। ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে জেফরি এপস্টিন তদন্ত সম্পর্কিত নথি প্রকাশের দাবিতে ফোর্ট ওর্থে স্লোগান ওঠে ‘রিলিজ দ্য ফাইলস’।
বিক্ষোভ নিয়ে রিপাবলিকান নেতারা একে ‘হেট আমেরিকা র্যালি’ বলে সমালোচনা করলেও আয়োজকেরা বলেন, এটি নাগরিক অধিকারের আন্দোলন।
ডালাস পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, তবে কোনো সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি।
বিক্ষোভ শুরুর আগেই টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট অস্টিনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দেন। ডেমোক্র্যাট নেতারা এ পদক্ষেপকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা বলে সমালোচনা করেছেন।
বৃষ্টি, স্লোগান আর পোস্টারের ভিড়ে ডালাসের কেন্দ্রীয় প্লাজায় একটাই বার্তা প্রতিধ্বনিত হয়—‘আমেরিকা কোনো রাজতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রের দেশ।’
তথ্যসূত্র: ডালাস মর্নিং নিউজ