২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ‘ট্রাইওন্ডা’
সামনে এলো ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বল ‘ট্রাইওন্ডা’। গত শুক্রবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজে আনুষ্ঠানিভাবে উন্মোচন করা হলো এই বল। যে অনুষ্ঠানে ছিলেন জার্মান কিংবদন্তি ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, ব্রাজিলের কাফু, ইতালির আলেহান্দ্রো দেল পিয়েরো, ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান এবং স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ।

সামনে এলো ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বল ‘ট্রাইওন্ডা’। গত শুক্রবার নিউইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজে আনুষ্ঠানিভাবে উন্মোচন করা হলো এই বল। যে অনুষ্ঠানে ছিলেন জার্মান কিংবদন্তি ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, ব্রাজিলের কাফু, ইতালির আলেহান্দ্রো দেল পিয়েরো, ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান এবং স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ।
বিশ্বকাপের নতুন বল ভাসাবে ‘ট্রাইওন্ডা’ নিয়ে জাভি বলেন, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে আমার সব স্মৃতিই অসাধারণ। এবারের বলটি তিন আয়োজক দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে। বিশ্বকাপ উপভোগ করার জন্য বলটি দেখতে যথেষ্ট সুন্দর।’
১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বকাপের বল প্রস্তুত করে আসছে অ্যাডিডাস। এবারের বলের নাম তারা দিয়েছে ‘ট্রাইওন্ডা’। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘অ্যাডিডাস আবারও একটি আইকনিক ফিফা বিশ্বকাপ বল তৈরি করেছে, যার নকশায় ফুটে উঠেছে আগামী বছরের আয়োজক তিন দেশের ঐক্য ও আবেগ। আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি সুন্দর বলটি কখন জালে প্রবেশ করবে।’
ট্রাইওন্ডা অর্থ কী
ট্রাই মানে ‘তিন’, আর স্প্যানিশ ভাষায় ওন্ডা শব্দের অর্থ ‘ঢেউ’। তিন আয়োজক দেশের ফুটবলের ঢেউয়ে মেতে উঠবে পুরো বিশ্ব।
বলের নকশা
আয়োজক তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডার প্রতি সম্মান রেখে বলের নকশায় লাল, সবুজ ও নীল রং ব্যবহৃত হয়েছে। চার প্যানেলের নকশা বলে ঢেউয়ের মতো জ্যামিতি তৈরি করেছে; যা নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য দেখায়। প্যানেলগুলো মিলে বলের মাঝে একটি ত্রিভুজ তৈরি করেছে। এ ছাড়া বলে তিন দেশের প্রতীক খোদাই করে তুলে ধরা হয়—কানাডার ম্যাপল পাতা, মেক্সিকোর ঈগল ও যুক্তরাষ্ট্রের তারকা। বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি সম্মান জানিয়ে বলে রাখা হয়েছে সোনালি রংয়ের আভাও।
প্রযুক্তির ব্যবহার
চার প্যানেলের নকশায় থাকা গভীর সেলাই, বলের গতিপথে সমানভাবে টান সৃষ্টি করে। ফলে বাতাসে থাকার সময় বলের স্থিতিশীলতা বেড়ে যায়। খোদাই করা প্রতীকগুলো ভেজা ও আর্দ্র পরিবেশে বলের গ্রিপ আরও শক্ত করে তুলবে।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের মতো এবারও বলের ভেতর থাকছে ৫০০ হার্জ সেন্সরের চিপ; যা রেফারির সিদ্ধান্তকে নির্ভুল হতে সহায়তা করে। বিশেষ করে অফসাইড ও হ্যান্ডবলের ক্ষেত্রে বলের নড়াচড়ার প্রতিটি মুহূর্ত রিয়েল টাইমে ভিএআরের কাছে পাঠায়। চিপটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ বার সিগনাল পাঠায়, যা একটি প্যানেলের নিচে বসানো। বলের অন্য তিনটি প্যানেল চিপযুক্ত প্যানেলের ভারসাম্য রক্ষা করে।
জাভি সুন্দর বলছেন বলটিকে। অ্যাডিডাস বলছে, এটি দর্শকদের হতাশ করবে না।
তথ্যসূত্র: ফিফা