খামেনিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল। তবে যথাযথ সুযোগের অভাবে সেটা করা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এ কথা বলেছেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল থার্টিনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল। তবে যথাযথ সুযোগের অভাবে সেটা করা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এ কথা বলেছেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল থার্টিনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা জানিয়েছে, চ্যানেল থার্টিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাৎজ বলেছেন, ‘আমরা খামেনিকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা করার যথাযথ সুযোগ পাওয়া যায়নি।’
ওই সাক্ষাৎকারে কাৎজ দাবি করেছেন, নিজের হামলা হতে পারে বলে এমন আশঙ্কা করে খামেনি ভূগর্ভের অনেক গভীরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছিলেন। প্রথম দফায় ইরানের প্রভাবশালী ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কোরের (আইআরজিসি) নেতাদের জায়গায় নিয়োগ পাওয়া সেনা কমান্ডারদের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে যুদ্ধের সময় খামেনি কয়েকটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন।
তবে আল–জাজিরা বলছে, খামেনি জেনারেলদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে কাৎজ যে দাবি করেছেন, তা নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খামেনিকে হত্যা করলে সংঘাত ভয়াবহভাবে বাড়ত। কারণ তিনি শুধু ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতাই নন, বরং বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানেরও শীর্ষ ধর্মীয় নেতা।
সাক্ষাৎকারে কাৎজ অারও বলেছেন, 'যদি আবারও ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করে, তাহলে ইসরায়েলও নতুন করে হামলা চালাতে পারে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছেন। আমি এমন কোনো পরিস্থিতি দেখি না, যেখানে ইরান আবার তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুনর্গঠন করতে পারবে।’
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল বলেছেন, এই যুদ্ধের ফলাফল এখন আরব দেশগুলোর সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক চুক্তির সুযোগ তৈরি করেছে।
এ নিয়ে নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে ইরানের বিরুদ্ধে লড়েছি এবং বড় বিজয় অর্জন করেছি। এই বিজয় আমাদের শান্তিচুক্তিগুলোর পরিসর আরও বড় করার পথ খুলে দিয়েছে।’
ধারণা করা হচ্ছে নেতানিয়াহু ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তির কথা বলছেন। ওই চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।
এদিকে প্রায় ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ইরানও নিজেদের বিজয়ী বলে দাবি করেছে। তেহরান বলেছে, ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করার মতো তথাকথিত যে-সব লক্ষ্য নিয়ে ইসরায়েল হামলা শুরু করেছিল, তা তারা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তাদের পালটা ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই নেতানিয়াহুকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল। কারণ, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।