ক্ষমতায় এলে আফগানিস্তান অনুসরণে শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের

ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে শরিয়া আইন চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। নিউইয়র্কভিত্তিক ইউটিউব টকশো 'ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন' অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। ১ জুলাই মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

Jul 1, 2025 - 22:27
ক্ষমতায় এলে আফগানিস্তান অনুসরণে শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
ছবি: ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন অনুষ্ঠানের সৌজন্যে

ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশে শরিয়া আইন চালু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। নিউইয়র্কভিত্তিক ইউটিউব টকশো 'ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন' অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। ১ জুলাই মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন সরকার গঠন করলে আফগানিস্তানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা অনুসরণ করে শরিয়া আইন চালু করবে। এছাড়াও ইরানের কিছু ভালো দর্শন গ্রহণ করা হবে। তবে, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, রাশিয়া থেকে যেসব নিয়ম শরিয়ার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, সেগুলোকেও জনগণের স্বার্থে গ্রহণ করা হতে পারে বলেও তিনি জানান।

সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় গেলে আমাদের শরিয়া আইনে হিন্দুদেরও অধিকার থাকবে। সংখ্যালঘুদের অধিকার বাস্তবায়ন করা হবে।”

রাজনীতির সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন, যা ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে এ দুই দলের মধ্যে অতীতে দ্বন্দ্ব ও পারস্পরিক কটূক্তির ইতিহাস রয়েছে। অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফয়জুল করীম বলেন, “একটি বিষয়ে মতৈক্য হলে একই মঞ্চে আসা যায়। এতে কেউ নিজের আদর্শ বিসর্জন দেয় না।” তিনি আরও জানান, জামায়াত নিয়ে তার পুরনো বক্তব্য থেকে একচুলও সরেননি এবং জামায়াতও তাদের পুরনো অবস্থান থেকে সরে আসেনি।

মহাসমাবেশে জামায়াত ছাড়াও এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি দলের নেতা উপস্থিত থাকলেও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কেন বিএনপির কেউ ছিলেন না—এ প্রশ্নের উত্তরে ফয়জুল করীম বলেন, “পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি নিয়ে যেসব দল একমত, কেবল তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিএনপি এতে রাজি নয়, তাই দাওয়াত দেয়া হয়নি। ভবিষ্যতে তারা রাজি হলে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।”

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে একাধিক বক্তব্য দিয়েছেন ফয়জুল করীম। এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে বিএনপির ওপর ক্ষিপ্ত নই। কিন্তু জনগণ তাদের চাঁদাবাজি, দলীয় কোন্দল ও সহিংসতা দেখে ক্ষুব্ধ। আমি কেবল জনগণের বক্তব্যই তুলে ধরেছি।”

টকশোতে মাজার ইস্যুতেও মত দেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকার আমলে বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মাজার ভাঙার ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, “মাজার খারাপ কিছু নয়। কেউ যদি সেখানে সেজদা দেয়, তাকে বোঝাতে হবে। কিন্তু ভাঙা ঠিক নয়।” তিনি সবাইকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। 

সূত্র: ঠিকানা নিউজ