টেক্সাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আর্থিক সংকটে
আপনি কেমন আছেন? ওয়ালেটহাব-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি আপনার উত্তর হয় 'চাপগ্রস্ত' — তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই সাইটটি সম্প্রতি টেক্সাসকে যুক্তরাষ্ট্রের সেই রাজ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ আর্থিক সংকটে ভুগছে।

আপনি কেমন আছেন? ওয়ালেটহাব-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি আপনার উত্তর হয় 'চাপগ্রস্ত' — তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই সাইটটি সম্প্রতি টেক্সাসকে যুক্তরাষ্ট্রের সেই রাজ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি মানুষ আর্থিক সংকটে ভুগছে।
এই তালিকায় 'নম্বর ওয়ান' হওয়া মানে খারাপ অবস্থানে থাকা। আর টেক্সাসই ছিল এক নম্বরে। অন্য যেসব বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে, সেখানেও টেক্সাস অনেক ক্ষেত্রে খারাপ অবস্থানে ছিল বা একেবারে তার কাছাকাছি।
*ক্রেডিট স্কোর অনুযায়ী টেক্সাস ১৩ নম্বরে,
*সংকটে থাকা বা বিলম্বিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা অনুযায়ী ৮ নম্বরে,
*প্রতি ব্যক্তির গড়ে সংকটাপন্ন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা অনুযায়ী ৭ নম্বরে,
*দেউলিয়া ফাইল করার হার বৃদ্ধি অনুযায়ী ৬ নম্বরে,
এবং টেক্সানরা গুগলে 'ঋণ' বা 'কর্জ'–সম্পর্কিত শব্দ খুঁজছে কতবার — এর মধ্যে 'ঋণ' অনুসন্ধানে ১৩ নম্বরে এবং “loans 'কর্জ' অনুসন্ধানে ৫ নম্বরে।
এসব তথ্য কিছু একটা গভীর সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত বছরের শেষদিকে লেনডিং ট্রি একটি বিশ্লেষণ করেছিল, যেখানে তারা বলেছিল কোন কোন শহরে মর্টগেজ ছাড়া সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে। সেই তালিকায়:
অস্টিন ছিল প্রথম, সান আন্তোনিও ছিল দ্বিতীয়, হিউস্টন তৃতীয় এবং ডালাস ষষ্ঠ স্থানে।
এই বিশ্লেষণেও ‘নম্বর ওয়ান’ হওয়া কোনো ভালো দিক নির্দেশ করে না। ঋণ-ভারাক্রান্ত শহরগুলোর তালিকায় ২য়, ৩য়, বা ৬ষ্ঠ হওয়াও অবশ্যই আশঙ্কার বিষয়।
আরও উদ্বেগের কারণ তখন তৈরি হয়, যখন কারও দেনা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায়ই থাকে না। আবার ফিরে যাই ওয়ালেটহাব-এর রিপোর্টে… তারা দেখিয়েছে যে প্রতি ব্যক্তির হিসাবে, টেক্সাসে ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক অ্যাকাউন্ট, যেগুলো কিছু সময়ের জন্য ঋণ স্থগিত বা পরে পরিশোধযোগ্য কিস্তিতে রাখা হয়েছে।
নতুন করে শিক্ষাঋণ সংকট?
এই পরিসংখ্যান নতুন গুরুত্ব পায়, যখন আমরা বিবেচনা করি যে এক বিশাল ঋণের উৎস — শিক্ষাঋণ — অনেক ঋণগ্রহীতার জন্য আরও বড় সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।
নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে টেক্সাসে শিক্ষাঋণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৩,৯০৬,৮২০ জন। আর তাদের মধ্যে ১.২% ছিলেন ডিফল্ট বা বিলম্বিত অবস্থায়।
এর মানে দাঁড়ায়, প্রায় ৪৬,৮৮২ জন টেক্সাস শিক্ষাঋণগ্রহীতা বর্তমানে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো রাজ্যের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এটা একটি বিপজ্জনক ‘ডোমিনো এফেক্ট’-এর সূচনা হতে পারে। মর্টগেজ মনিটর বলছে, 'যেসব ঋণগ্রহীতা শিক্ষাঋণে ডিফল্ট করেন, তারা চার গুণ বেশি সম্ভাবনায় মর্টগেজেও ডিফল্ট করেন।'
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা শিক্ষাঋণের উপর যে সুদ স্থগিত ছিল, সেটির পুনরায় প্রয়োগ শুরু করবে। এই সুদ ছাড় ছিল এসএভিডিই নামের একটি রিলিফ প্রোগ্রামের অংশ, যা বাইডেন প্রশাসনের সময় চালু হয়েছিল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, 'আয়ের ভিত্তিতে কিস্তি দেওয়ার নতুন প্ল্যানে আবেদন করা এখনো 'দ্রুত ও সহজ'।
এছাড়াও ফোর্বসকে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ট্রাম্পের সদ্য পাস হওয়া বাজেট বিল-এ এমন একটি ধারা অন্তর্ভুক্ত আছে, যেখানে 'সুদ এবং আসল অর্থে ভর্তুকি' রয়েছে, যা কিছু শিক্ষাঋণগ্রহীতার জন্য সহায়ক হতে পারে।
সূত্র: ডব্লিউএফএএ