চতুর্থ স্তরের ক্যান্সারকে পরাজিত করেন কাউবয়েজের মালিক জেরি জোন্স
কাউবয়েজের মালিক জেরি জোন্স দশ বছর ধরে চতুর্থ স্তরের মেলানোমার সঙ্গে লড়েছেন এবং একটি পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ওষুধ তার জীবন বাঁচিয়েছে।

নেটফ্লিক্স-এর আট পর্বের ডালাস কাউবয়েজ ডকুমেন্টারিটি বাইরের দিক থেকে আকর্ষণীয় হলেও বড় কোনো চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে না। তবে এতে একটি বড় ইঙ্গিত রয়েছে।
এই ইঙ্গিতই মঙ্গলবার একটি প্রশ্নের উদ্রেক করেছিল এবং কাউবয়েজের মালিক জেরি জোন্স খোলাখুলি ও সংবাদযোগ্য উত্তর দেন। তিনি দশ বছর ধরে চতুর্থ স্তরের মেলানোমার সঙ্গে লড়েছেন এবং একটি পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ওষুধ তার জীবন বাঁচিয়েছে।
জোন্স বলেন, 'আমি অসাধারণ চিকিৎসা, দারুণ ডাক্তার এবং একটি সত্যিকারের অলৌকিক ওষুধ পিডি-ওয়ানের (থেরাপি) দ্বারা বেঁচে উঠেছি। আমি পিডি-ওয়ান ট্রায়ালে গিয়েছিলাম এবং এটি এক অসাধারণ ওষুধ। এখন আমার কোনো টিউমার নেই।'
৮২ বছর বয়সী জোন্স বলেন, তার ক্যান্সার ধরা পড়েছিল ২০১০-এর জুনে। তার কিছু সময় পরে তিনি হিউস্টনের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন।
জোন্স জানান, পরবর্তী দশ বছরে তিনি চারটি অস্ত্রোপচার করেছেন—দুটি ফুসফুসের এবং দুটি লিম্ফ নোডের। তিনি জানাননি কখন তিনি পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ও পিডি-ওয়ান শুরু করেছিলেন।
মেলানোমা রিসার্চ অ্যালায়েন্স অনুযায়ী, চতুর্থ স্তরের ক্যান্সার ধরা পড়া মানে হলো ত্বকের ক্যান্সার কোষ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়েছে।
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানায়, চতুর্থ স্তরের মেলানোমা রোগীদের পাঁচ বছর বাঁচার হার ৩৫%, তবে মেমোরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারের একটি গবেষণা দেখায়, নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি পাঁচ বছরের বাঁচার হার ৫০% পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
পিডি-ওয়ান-এর পূর্ণ নাম হলো প্রোগ্রামড সেল ডেথ প্রোটিন ওয়ান। পিডি-ওয়ান ইমিউনোথেরাপি রোগীর ইমিউন সিস্টেমকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। এটি পিডি-ওয়ান ব্লক করে, যাতে টি-সেলগুলো ক্যান্সার কোষ চেনে এবং ধ্বংস করতে পারে।
নেটফ্লিক্স-এর 'আমেরিকাস টিম: দ্য গ্যাম্বলর অ্যান্ড হিজ কাউবয়েজ' সিরিজের পঞ্চম পর্বের শুরুতে জোন্স উল্লেখ করেছেন, তিনি প্রায় বারো বছর আগে এমডি অ্যান্ডারসনে ক্যান্সার চিকিৎসা করিয়েছিলেন।
নেটফ্লিক্স দুই বছরে জোন্সের ৪০ ঘণ্টারও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। স্পষ্ট নয় কোন সময়ে জোন্স ক্যান্সারের কথা বলেছেন এবং এমডি অ্যান্ডারসন কীভাবে চিকিৎসা করছিল তা উল্লেখ করেননি।
নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারির পঞ্চম পর্ব 'দ্য শুটআউট অ্যাট ভ্যালি র্যাঞ্চ' জোন্স এবং কোচ জিমি জনসনের সম্পর্কের অগ্রগতি ও ভাঙনের বিস্তারিত তুলে ধরে। জোন্স ১৯৮৯-এর ২৫ ফেব্রুয়ারি কাউবয়েজ কিনে টম ল্যান্ড্রিকে বরখাস্ত করে তার আরকানসাসের সহকর্মী জনসনকে নিয়োগ করেছিলেন।
পঞ্চম পর্বের শুরুতে জোন্স বলেন, এমডি অ্যান্ডারসনের একজন চিকিৎসক তাকে বলেছিলেন, 'আপনাকে অনেক ধ্যান করতে হবে। ১০ জন মানুষের তালিকা তৈরি করুন যারা আপনার রক্ত ফুটিয়ে দিতে পারে। প্রথম থেকে শুরু করুন এবং তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো কামনা করুন। নম্বর ১-এ আমি লিখেছিলাম ''জিমি জনসন''।'
ডকুমেন্টারির সাক্ষাৎকারে হালকা হেসে জোন্স শেষ কথা বলেন, 'কয়েক সপ্তাহ পরে আমি ডাক্তারকে বললাম, ‘আমি সেই প্রথম পার হতে পারছি না।'
সূত্র: ডালাস মর্নিং